বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেদির রং না মুছতেই ভেঙে গেল কলির স্বপ্ন

ম চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ৩০ নভেম্বর ২০২০, ১০:২৭
কলি-রানা দম্পতি

৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর মাত্র ২৪ দিন। সোহেল রানার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কলির। সুখেই কাটছিল তাদের জীবন। কিন্তু সামান্য ঘটনার সূত্র ধরে সোহেল রানাকে জীবন দিতে হলো। মুছে গেল কলির হাতের মেহেদির রং। ভেঙে গেল কলির স্বপ্ন। ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ল অন্ধকার। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরীস্থ হাজিপাড়ায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীদের নির্মম পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মো. সোহেল রানা (২৮)। তার মৃতু্যতে কলি প্রায় ভারসাম্যহীন। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। নিহত সোহেল রানা চকরিয়া পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের পালাকাটা হাসেম মাস্টার পাড়ার আবদুর রকিমের ছেলে। সোহেল রানা পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। পরিবার সূত্র জানায়, গত ৪ নভেম্বর সোহেলের সাথে বিয়ে হয় পেকুয়ার কৃষকলীগ নেতা মেহের আলীর কন্যা কলির সঙ্গে। সন্ত্রাসী হামলায় বিয়ের ২৪ দিনের মাথায় স্বামী সোহেলকে হারাল নববিবাহিতা কলি। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলার পর ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা সোহেলকে দ্রম্নত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পরপরই হামলায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার নাম আবদুল মান্নান (৩৪)। সে হাজিপাড়ার কবির আহমদের ছেলে। নিহত সোহেলের বাবা আবদুর রকিম জানান, ভরামুহুরী হাজি পাড়ায় তাদের ক্রয়কৃত একটি জায়গা রয়েছে। সেই জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় ভূমিদসু্য-সন্ত্রাসীরা। এই খবর পেয়ে তার ছেলেসহ আরও কয়েকজন সেখানে ছুটে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে একা পেয়ে হাজীপাড়ার নুরুল আলম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা সোহেলকে পেছন থেকে হাতুড়ি, গাছের বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে সোহেলের নিথর দেহ। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফ হোসেন জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনায় আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে