বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

আজ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্যদিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমে ৪টি ট্রেন দৈনিক ৮ বার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও যাত্রী চাহিদায় পরে তা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দিলে কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতি। বর্তমানে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন স্বল্পগতিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সময় অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়
এইচএম মোকাদ্দেস, সিরাজগঞ্জ
  ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আজ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বহুল কাঙ্ক্ষিত যমুনা নদীর উপর দেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজের শুভ উদ্বোধন ও ভিত্তিফলক উন্মোচন করবেন। দাতা দেশ জাপানের সহায়তায় ২০২৪ সালে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে দেশের রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপস্নব ঘটবে। এই রেলসেতু দেশের মানুষের কাছে আশীর্বাদ হিসেবে ধরা দেবে বলে মনে করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্যদিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমে ৪টি ট্রেন দৈনিক ৮ বার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও যাত্রী চাহিদায় পরে তা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দিলে কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতি। বর্তমানে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন স্বল্পগতিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সময় অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়।

ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু (পশ্চিম) রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জোড়া নিয়মিত যাত্রীবাহী ট্রেন পারাপার হয়। এছাড়া তেল ও পণ্যবাহী ট্রেনও চলাচল করে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এসব ট্রেন। এছাড়া সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। এতে দুর্ভোগের সীমা থাকে না রেল স্টেশনের কর্মী ও যাত্রীদের। রেলসেতু নির্মাণ করা হলে কোনো ট্রেনেই কোনো প্রকার শিডিউল বিপর্যয় ঘটবে না। সময় সাশ্রয় হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই সেতু পারাপার হওয়া যাবে। একটি ট্রেন আরেকটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবে না। এতে উপকৃত হবে রেল যাত্রীরা।

ইতোমধ্যে রেলপথ মন্ত্রী ও রেলওয়ে বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রেল সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেছেন। অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রস্তুতি সভা। বন্ধুপ্রতিম দেশ জাপানের জাইকার সহযোগিতায় রেল সেতু নির্মাণ হবে। সেতুটির নির্মাণকাজ দুটি ভাগে হবে। একটি সিরাজগঞ্জ অংশে, অন্যটি টাঙ্গাইল অংশে। এই সেতুর উপর দিয়ে ১শ' কিলোমিটার গতিতে রেল চলাচল করতে পারবে। জাপানের আর্থিক সহায়তায় এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে রেলসেতুটি নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

উদ্বোধনসূচি থেকে জানা যায়, সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা। এরপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বক্তব্য রাখবেন। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ১০টা ৪২ মিনিটে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সভাপতির বক্তব্য দেবেন। পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০টা ৪৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে