শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি দুই জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিৎমরমে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার বিকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা (৫৫) ও একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিংথোয়াই মারমা (৫০)।
ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা চন্দ্রঘোনা থানাধীন উজানছড়ি এলাকার মৃত মংবা মারমার ছেলে। ইউপি সদস্য ইউপি সদস্য সিংথোয়াই মারমা উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন চংড়াছড়ি পূর্বপাড়ার খিজা মারমার ছেলে।
গুলিতে নিহত তুইনুমং মারমার জেটাতো ভাই মংক্যচিং মারমা জানান, আমার ভাইকে হত্যার পর তার মা ওয়াংচিং মারমা বাদী হয়ে ২৬ নভেম্বর রাজস্থলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জেএসএস সন্তু গ্রম্নপের দুইজন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা একইসঙ্গে হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য আসামিদের আটকের দাবি জানাই ও হত্যাকারীদের বিচার চাই।
এ প্রসঙ্গে রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফজল আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন। আটককৃতদের রাজস্থলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
উলেস্নখ্য, গত ২০ নভেস্বর রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাসিন্দা তুইনুমং মারমাকে গুলি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরদিন ২১ নভেম্বর তার পরিবারের সদস্যরা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিলে ২২ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতাকর্মীদের দায়ী করে ২৩ জনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে রাজস্থলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা ওয়াংচিং মারমা।
Google News ফিড অনসরণ করুন
