বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাগর-রুনি হত্যা ৭৬ বারের মতো পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

একে একে কেটে গেল আট বছরেরও বেশি। সুরাহা করা যাচ্ছে না কোনো কিছুরই। শিশু মেঘ কৈশোরে পা দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি কারা তার পিতা-মাতাকে হত্যা করেছে। আবারও পেছাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ। এ নিয়ে ৭৬ বার একই ঘটনা ঘটল।

রোববার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও তা দাখিল করতে পারেননির্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্(যাব) তদন্ত কর্মকর্তা। তাই ঢাকার হমেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী আগামী ২৯ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।

গত ৩ মার্চ হাইকোর্টে দাখিল করা অগ্রগতির প্রতিবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুজন অপরিচিত ব্যক্তি জড়িত ছিল। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ওই দুই ব্যক্তির ডিএনএর প্রমাণ মিলেছে।

অপরাধীদের শনাক্ত করতে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ল্যাব যথাক্রমে ইন্ডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস এবং প্যারাবন স্ন্যাপশট ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। প্রতিষ্ঠান দুটি ডিএনএর মাধ্যমে অপরাধীর ছবি বা অবয়ব প্রস্তুতের প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।

ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রম্নয়ারি রাতে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই বছরের ১২ ফেব্রম্নয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরে-বাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরে-বাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রম্নয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।

দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়র্ যাবকে। সেই থেকে ৮ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে