শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
পদ্মা সেতুর ৫৭০০ মিটার দৃশ্যমান

বসেছে ৩৮তম স্প্যান বাকি আর তিন

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২২ নভেম্বর ২০২০, ১০:২২

সকাল থেকেই পদ্মার আকাশ ছিল মেঘলা। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। দুপুর গড়ালেও দেখা মেলেনি রোদের। কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারদিক। এমন দৃশ্যমান আবহাওয়ায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১ ও ২ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয়েছে ৩৮তম ওয়ান-এ স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার। বাকি আছে আর তিনটি স্প্যান বসানোর কাজ। যা হলে আরও ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে। গতকাল শনিবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে স্প্যানটি বসানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৗশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি নিয়ে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই রওনা দেয়। প্রায় ৩০ মিনিট পর কাঙ্ক্ষিত পিয়ারের কাছে পৌঁছে ৩ হাজার ৬০০ টন সক্ষমতার ক্রেনটি। প্রকৌশলীরা জানান, এক সপ্তাহ আগে থেকেই ভাসমান ক্রেনটির অবস্থান করার জন্য ড্রেজিং করে পর্যাপ্ত গভীরতা আনা হয়। এছাড়া পাড়ের মাটির অংশ কেটে ফেলা হয়। পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিয়ারে বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। ৩৭তম স্প্যান বসানোর ৯ দিনের মাথায় গতকাল বসানো হলো ৩৮ স্প্যানটি। গেল মাসে চারটি স্প্যান বসানো সম্ভব হয়েছে, চলতি মাসে আরও একটি স্প্যান বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী প্রকৗশলীরা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় স্প্যানগুলো। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর পাঁচ হাজার ৫৭০০ মিটার অংশ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রম্নপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে