শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বয়স তার ১২০

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
ডা. জসীম উদ্দিন ও তার জাতীয় পরিচয়পত্র

ডা. জসীম উদ্দিন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও তার চলাফেরায় রয়েছে বেশ স্বাচ্ছন্দ। হাঁটতে পারেন, নিজে নিজে খাইতে পারেন, এমনকি কোরআন পড়তে পারেন। অথচ তার বয়স ১২১ ছুঁইছুঁই। যেখানে ৬০-৭০ বছর বয়সের মানুষ খালি চোখে ভালোভাবে পত্রিকা বা বই পড়তে পারেন না। নানা রোগে জর্জরিত থাকেন, পরতে হয় চশমা।

ডা. জসীম উদ্দিনের বাড়ি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধারশুন গ্রামে। বর্তমানে তার বয়স ১২০ বছর চলছে। গত বুধবার দুপুরে ধারশুন পশ্চিমপাড়া গ্রামে তার বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, পেশায় তিনি একজন পলিস্ন প্রাণী চিকিৎসক ছিলেন। প্রায় ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রাণী চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ১৪ সন্তানের বাবা। তার প্রথম পক্ষের ৩ জন সন্তান ও দ্বিতীয় পক্ষের ১১ জন সন্তান। প্রথম পক্ষের স্ত্রীসহ সন্তানরা সবাই মারা গেছেন। দ্বিতীয় পক্ষের এক ছেলে হারুনুর রশিদও একজন পলিস্ন প্রাণী চিকিৎসক।

হারুনুর রশিদ বলেন, বর্তমানে তার বাবার বয়স ১২০ বছর। এ বয়সেও তিনি লাঠি ধরে চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া নিজেই করতে পারেন। ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি চশমা ছাড়া খালি চোখেই কোরআন শরিফ পড়তে পারতেন। পরে চশমা পরে কোরআন শরিফ পড়েন।

জসীম উদ্দিনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মোছা. সাহারা বেগম জানান, তাদের বিয়ের পর থেকেই তিনি তার স্বামীকে তেলে ভাজা খাবার খেতে দেখেননি। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তিনি দুধ, ডিম ও নানা ধরনের ফল প্রচুর পরিমাণে খেতেন।

এ ব্যাপারে জসীম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়। তার নাম ও বয়স জিজ্ঞেস করলে তিনি ধীরে ধীরে তা বলতে সক্ষম হন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু কালাম আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, পলিস্ন প্রাণী চিকিৎসক জসীম উদ্দিনের সঠিক বয়স তার জানা নেই। তবে ১০০ বছর পার হয়েছে বলে তিনি জানান। এই বয়সেও কোরআন শরিফ পড়তে পারেন বলে তিনি স্থানীয়দের কাছে শুনেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<117252 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1