শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ইলিশ রক্ষা অভিযানে দফায় দফায় হামলা

বরিশাল অফিস
  ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

বরিশালে ইলিশ রক্ষার অভিযানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা বেড়েই চলছে। হিজলাসহ বরিশালের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালাতে গিয়ে দফায় দফায় হামলার শিকার হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। গত দুই সপ্তাহে তাদের উপর পাঁচবার হামলা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিম ছাড়ার প্রধান মৌসুমের কারণে গত ১৪ অক্টোবর থেকে টানা ২২ দিন দেশের নদ-নদীতে মাছ আহরণ বন্ধ রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ সময়কালে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি দিনে ও রাতে চলছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর অভিযান। কিন্তু অভিযানে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে।

নিষেধাজ্ঞা শুরুর দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর রাতে জেলার হিজলায় প্রথম নৌ-পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। মাঝ নদীতে ঘটা সেই হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় নামধারী ১০ এবং অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করে নৌ-পুলিশ একটি মামলাও করে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর ২০ অক্টোবর রাতে বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন অভিযানিক দলের ওপর হামলা হয়। ওই ঘটনাতেও পুলিশ সদস্য ও বোট চালকসহ ৩ জন আহত হন। দ্বিতীয় ঘটনার ৭ দিন পর ২৭ অক্টোবর সকালে হিজলায় ফের হামলার শিকার হন নৌ-পুলিশের সদস্যরা। অসাধু জেলেদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুড়তে হয়। এসময় এক পুলিশ সদস্য হাতে ব্যথা পান। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ওইদিন রাতেই হিজলায় হামলার শিকার হন নৌ-পুলিশের সদস্যরা। ঘটনাটি হিজলার গৌরবদী ইউনিয়নের অন্তরবাম পয়েন্টে ঘটে বলে জানিয়েছে নৌ-পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মেঘনা নদীতে টহল দেওয়ার সময় একটি বড় বোটকে সংকেত দেন পরিদর্শক মো. আবু তাহেরের নেতৃত্বাধীন একটি টিম। এসময় বোটটি পালিয়ে যেতে চাইলে নৌ-পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। জেলেদের ওই ট্রলারটি নৌ-পুলিশের ট্রলারকে ধাক্কা দিলে পরিদর্শক মো. আবু তাহের আহত অবস্থায় নদীতে পড়ে যান। এ ঘটনায় হিজলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াকুব বাঘা, মুহাম্মদ আলী বাঘা ও মো. জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও তাদের নামে মৎস্য আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান হিজলা নৌ-পুলিশের পরিদর্শক শেখ মো. বেলস্নাল হোসেন।

এই পরিদর্শক বলেন, ঘটনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নদীতে ঘটা এসব হামলার ঘটনার প্রতিটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। যদিও এসব ঘটনার পরও অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে আবুপুর-হরিনাথপুর ভাসমান নৌপুলিশ ইউনিট-১ এর এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে হিজলার বদরপুরসংলগ্ন নদীতে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ৭-৮টি নৌকা এসে লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শটগানের চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে

বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, বিগত সময় থেকে এ পর্যন্ত হিসাব করলে বরিশাল সদরের চন্দ্রমোহন, বাবুগঞ্জ-মুলাদীর মীরগঞ্জ, হিজলার আবুপুর, ধূলখোলা, গৌরবদী ও মেহেন্দিগঞ্জে চরশিফুলী এলাকায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। তারা আত্মরক্ষা কিংবা গ্রেপ্তার এড়াতে হামলা করে থাকেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<117251 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1