কেরানীগঞ্জের কারখানায় শীতবস্ত্র তৈরির ধুম

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত কেরানীগঞ্জের দর্জিরা -যাযাদি
শীত মৌসুম সামনে রেখে কেরানীগঞ্জের পোশাক কারখানাগুলোতে চলছে শীতবস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত প্রস্তুতি। সব বয়সের মানুষের জন্য নানা ধরনের শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কারিগররা। শিশুদের জন্য বাহারি রঙের সোয়েটার, ছেলেদের জন্য জ্যাকেট থেকে শুরু করে বেস্নজার, মেয়েদের জন্য হাল ফ্যাশনের শীত পোশাক সবই তৈরি হচ্ছে এখানে। এসব ইতোমধ্যে পাইকারি শোরুমে শোভা পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জেলার পাইকার এখানে ভিড় করছেন শীতবস্ত্র কিনতে। কেরানীগঞ্জের পোশাক কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি কারখানায় শীতের পোশাক তৈরির ধুম লেগেছে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কারিগররা তৈরি করছেন বাহারি ডিজাইনের শীতের পোশাক। কেউ সাইজ করে কাটছেন কাপড়। কেউ আবার সেই কাপড় সেলাই করে তৈরি করছেন জ্যাকেট ও বেস্নজারের আকৃতি। অন্য স্থানে করা হচ্ছে ডিজাইনভিত্তিক অ্যাম্ব্রয়ডারির কাজ। সব শেষে লাগানো হচ্ছে মাপ মতো বোতাম ও চেইন। মোট কথা কারখানার সেলাই মেশিনের শব্দ বলে দিচ্ছে কারিগরদের ব্যস্ততা। জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুসলিম ঢালী বলেন, দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। এ জন্য এখন থেকেই কেরানীগঞ্জের পোশাকপলিস্ন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে শীতবস্ত্র তৈরিতে। বাজার ধরতে এখন সবাই শীতের পোশাক তৈরি করছেন। এজন্য কারিগররা এখন খুব ব্যস্ত। তারা শীতের পোশাক তৈরি করে থরে থরে সাজিয়ে রাখছে। পূর্ব আগানগরস্থ আলম শপিং মলের ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান এবং টকিও টাওয়ারের মদিনা গার্মেন্টের মালিক মো. লিটন হাওলাদার বলেন, শীতবস্ত্র তৈরিতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েছি। কারখানায় বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি কাপড় দিয়ে শীতের পোশাক তৈরি করছি। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা কিনতে শুরু করেছে। খাজা-সুপার মার্কেটের আলিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নুরুল আমীন লিটন জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাকের মার্কেট এটি। চলতি শীত মৌসুমকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই পাইকার আসা শুরু হয়েছে এবং এ বছর ব্যবসা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, এবারের শীতে ছেলেদের শীতকালীন কোট-সু্যট, বেস্নজার ও সোয়েটারের পাশাপাশি মেয়েদের জন্যও রয়েছে বাহারি ডিজাইনের সব ধরনের শীতকালীন পোশাক। জানা যায়, কেরানীগঞ্জের পোশাক কারখানার মালিকরা দেশি-বিদেশি কাপড় কিনে নিজেদের কারখানায় শীতের পোশাক তৈরি করে থাকেন। আবার চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পোশাক এনে বিক্রি করেন। আর এ পলিস্ন থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা সরাসরি পোশাক কিনে নেন।