হুমকি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে :প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বুধবার বরিশালস্থ শেখ হাসিনা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনীর তিনটি ব্রিগেড এবং পাঁচটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালামের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করার অনুমতি গ্রহণ করেন -আইএসপিআর
সেনাবাহিনীকে দেশের মানুষের বিশ্বাস ও ভরসার প্রতীক উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলা করার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। বুধবার পটুয়াখালীর লেবুখালীতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসে নবপ্রতিষ্ঠিত তিনটি ব্রিগেড ও ৫টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। লেবুখালীতে অনুষ্ঠানস্থলে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্ব-স্ব ইউনিট পতাকা তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. জিয়াউর রহমানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শান্তি চাই, বন্ধুত্ব চাই। বৈরিতা চাই না, যুদ্ধ চাই না। কোনো ধরনের সংঘাতে আমরা জড়িত হতে চাই না। কিন্তু যদি কখনো আক্রান্ত হই, সেটা মোকাবিলা করার মতো শক্তি যেন আমরা অর্জন করতে পারি, সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই এবং সেভাবে তৈরি থাকতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের আস্থা অর্জন করে আপনাদের এগিয়ে যেতে হবে। সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে দেশের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সবাইকে পেশাগতভাবে দক্ষ, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে। সেনাবাহিনীর উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জনগণের বাহিনী, সেনাবাহিনী জনগণের বাহিনী। এ দেশের উন্নতি হলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিবারের উন্নতি হবে। সে কথা মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন এ দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ ভাগ। তা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। ২০২০ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, এর মধ্যেই আমরা আমাদের দেশকে উন্নত করতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। করোনাভাইরাসের কারণে হয়তো সেটা কিছুটা স্থবির হয়ে গেছে। তারপরও আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। লেবুখালীতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসে নবপ্রতিষ্ঠিত ব্রিগেডগুলো হলো : সদর দপ্তর ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড, সদর দপ্তর ২৮ পদাতিক ব্রিগেড। ইউনিটগুলো হলো ৪৯ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ১২ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, ৬৬ ইস্টবেঙ্গল, ৪৩ বীর এবং ৪০ এসটি ব্যাটালিয়ন। প্রসঙ্গত, বরিশাল ও পটুয়াখালীর সীমান্তবর্তী পায়রা নদীর তীরে এক হাজার ৫৩২ একর জমিতে সেনানিবাস নির্মাণের এই প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর একনেকে অনুমোদন হয়। এর নির্মাণ ব্যয় ১ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রম্নয়ারি সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের পতাকা উত্তোলন করে এই সেনানিবাস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।