বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও করতে গেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে পুলিশ তাদের বাধা দেয় -ফোকাস বাংলা

ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর একটি বিশাল মিছিল নিয়ে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে গুলশানের দিকে রওনা হয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। এদিকে ঘেরাও-পূর্ব সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম অবিলম্বে সংসদ অধিবেশনে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাদের সব পণ্য বর্জন করতে হবে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। ' মুফতি রেজাউল করিম বলেন, 'বাংলাদেশ ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি রাসূলকে (সা.) নিয়ে ব্যঙ্গ উক্তি করার পর সারা বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিলেও আমাদের দেশের সরকার এখনও নিশ্চুপ কেন? এ দেশের মুসলমানরা আপনাদের সম্পর্কে বুঝে গেছে আপনারা কোন পক্ষের।' এসময় তিনি ঘোষণা দেন, আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে জেলা ও মহানগরে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রথম যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, দফতর সম্পাদক লুৎফর হোসেন জাফরী, সহকারী মহাসচিব হাসান জামিল, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি কেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ। পরে মিছিলটি শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয় এবং এখানেই তাদের কর্মসূচির ইতি ঘটে। মিছিলে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা- 'বিশ্ব নবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান', 'মঁ্যাখোর চামড়া, তুলে নেব আমরা', 'জেগেছে রে জেগেছে, মুসলমান জেগেছে', 'বয়কট বয়কট, ফ্রান্সের পণ্য বয়কট', 'ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, ফ্রান্সের দূতাবাস' ইত্যাদি স্স্নোগান দেন। প্রসঙ্গত গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের উপকণ্ঠে দেশটির এক স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করে ১৮ বছর বয়সি এক কিশোর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিতর্কিত কার্টুন শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের কারণে ক্ষুব্ধ ওই কিশোর স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেন। পরে ফ্রান্সের সরকার ওই স্কুল শিক্ষককে দেশটির সর্বোচ্চ মরণোত্তর পদকে ভূষিত এবং বিভিন্ন ভবনের গায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিতর্কিত সেই কার্টুনের প্রদর্শন শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মঁ্যাখো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুনের প্রদর্শনের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে