বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলেছে সাভারের ইমরানের

মো. আরজু মীর, সাভার
  ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
নিজের বাগানের ফলানো মাল্টা দেখাচ্ছেন সাভারের ইমরান -যাযাদি

সাভারে মাল্টা চাষ করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন তরুণ ইমরান হোসেন। এখন তার মালটা বাগানই হয়ে উঠেছে অন্যতম 'দর্শনীয় স্থান'। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন এই বাগানে। মাল্টা চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী হওয়ায় সাভারে অনেকেই এখন ঝুঁকছেন মাল্টা চাষে।

সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সামাইর গ্রামের তরুণ ইমরান হোসেন এইচএসসি পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে দুই বছর আগে নিজেই শুরু করেন এই মাল্টা বাগান। বছর ঘুরে বাগানজুড়ে আসে মাল্টা। এখন গাছে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো ও সুস্বাদু ফল মাল্টা। তার ভাগ্যটাই বদলে দিয়েছে এই মাল্টা।

তরুণ এ মাল্টা বাগানের মালিক ইমরান যায়যায়দিনকে বলেন, ২০১৬ সালের শেষের দিকে ইউটিউবে দেখি আমাদের দেশে মাল্টা বাগান হচ্ছে। যেখানে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ খুব ভালো হচ্ছে। সেখান থেকে আমি প্রথমে দেখে উদ্বুদ্ধ হই। চিন্তাভাবনা করলাম যেহেতু আমাদের জমি আছে, তাই সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে আমি চারা এনে রোপণ করি। এর এক বছর পর ফল আসে। তবে গাছের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তা রাখিনি। এ বছর দ্বিতীয় বার ফলন হয় যা আলস্নাহর রহমতে আগের চেয়ে খুবই ভালো। এ পর্যন্ত আমি প্রায় এক লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি।

ইমরানের মাল্টার বাগান দেখতে অনেককেই ভিড় জমান বাগানে। দেড়শ টাকা কেজি দরে বাগান থেকেই ক্রেতারা প্রতিনিয়ত কিনে নিয়ে যাচ্ছে বারি জাতের এই মাল্টা।

সফলতার এই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে বিষমুক্ত মাল্টার চাষ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন ইমরান হোসেন। স্থানীয় কৃষিতে ব্যাপক ভূমিকাও রাখছেন তিনি।

সাভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, সাভার অঞ্চলে বেশ কিছু স্থানে বিভন্ন ধরনের ফলের চাষ করছেন কৃষকরা। এরই ধারাবাহিকতায় তরুণ উদ্যেক্তা ইমরান মাল্টা চাষে আগ্রহী হলে আমাদের কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সিলেট থেকে চারা সংগ্রহ করে। ইমরানসহ সাভার উপজেলার বিভিন্ন চাষিদের মধ্যে বিতরণ করি। পরে আমি ও আমার সহকারী কর্মকর্তা ইমরানসহ অন্যান্য মাল্টা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শমূলক দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকি।

ইমরানের মতো তরুণদের এ রকম অসামান্য উদ্যোগই আমদানিনির্ভর বিদেশি মাল্টার দখল থেকে স্থান করে নেবে দেশি জাতের এই মাল্টা। সংরক্ষণে কোনো রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার না থাকায় টাটকা ও সতেজ ফল হিসেবে দিন দিন বাড়ছে মাল্টার চাহিদা।

জানা যায়, মাল্টা বাগানে নিবিড় পরিচর্যা করতে হয়। এছাড়া মাল্টা চাষে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। রোগবালাই সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। মাল্টা গাছের অনেক প্রকার রোগ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম রোগ হচ্ছে গ্রিনিং। এতে গাছ বাঁচানো সহজ হয় না। এর থেকে প্রতিকার পেতে প্রতি মাসে অত্যন্ত একবার করে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। আর দু'বার করলে আরও ভালো থাকে। এছাড়া যেসব পোকামাকড় রয়েছে সে জন্য বিভিন্ন কোম্পানির বিষ প্রয়োগই যথেষ্ট মনে করছেন অত্র এলাকার মাল্টা চাষিরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<116673 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1