আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া উচিত :কাদের

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপিকে গণতন্ত্রের মুখোশপরা ফেরিওয়ালা উলেস্নখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির অপরাজনীতিই দেশের গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে সবচেয়ে বড় বাধা। মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র এক চাকার বাইসাইকেল নয়, এটি একটি ভারসাম্যমূলক কাঠামো, সরকারের পাশাপাশি বিরোধীদলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রক্তের দাগ ও ষড়যন্ত্রের নকশা তারাই হচ্ছে গণতন্ত্রের মুখোশপরা ফেরিওয়ালা। সরকারের পদত্যাগ চেয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিএনপির দাবির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবি জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, সময় হলেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। অথচ এ সময়ে কোনো ইসু্য খুঁজে না পেয়ে তারা নন ইসু্যকে ইসু্য বানানোর অপচেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি একবার নিরাপদ সড়ক, আবার কোটা বিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে ভর করে সরকারের পদত্যাগ চেয়েছিল। যা হালে পানি পায়নি। বিএনপি নেতাদের সব রাজনৈতিক আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। রাজপথে জনগণের উত্তাল ঢেউ উঠবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব যা বলেন, তা নিজে বিশ্বাস করতে পারেন কি-না সন্দেহ আছে। টেমস নদীর পাড় থেকে ঢেউ তারা গুলশান অফিসে তুলতে পারেন, কিন্তু পদ্মা-মেঘনা-যমুনার পলিবিধৌত মুজিবের বাংলায় নয়। বিএনপির আন্দোলনের হাঁক-ডাক আষাঢ়ের আকাশের মতো, সোশ্যাল মিডিয়া আর গণমাধ্যমে যতটা গর্জে বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না। দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বিএনপির এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বার বার মিথ্যা ও পুরনো অভিযোগ করে চলছে বিএনপি। সরকার নাকি ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না বলেও তারা চিৎকার করছে। এদেশে আওয়ামী লীগের মধ্যেই পরমত সহিষ্ণুতা আছে। আর আছে বলেই বিএনপির নেতারা অনবরত মিথ্যাচার করতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ৩ মাসেই ৫০ সাংবাদিক হামলার স্বীকার এবং সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস থেকে ৩৪ জন সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকরিচু্যত করা হয়েছিল। তখন খোদ গণমাধ্যম রিলেটেড সংগঠন 'রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স'-এর এক রিপোর্টে তা প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা এখন গণমাধ্যমের প্রতি লোক দেখানো লিপসার্ভিস দিচ্ছে।