কাপ্তাইয়ের হাফছড়ির 'ক্যকপ্রাং' ঝরনায় পর্যটকের আকর্ষণ
প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
মারমা ভাষায় 'ক্যকপ্রাং' শব্দের অর্থ হলো পাথরের এলাকা বা পাথরের চাঁই। রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের হাফছড়ি ভিতর পাড়ায় অবস্থিত ক্যকপ্রাং ঝরনা এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পাহাড় থেকে প্রবাহিত অবিরাম ধারার পানি, ছোট-বড় পাথর, গুহা, পাহাড়ের কোনায় কোনায় ঘর, পাহাড়ি মেঠো পথ, বিভিন্ন ফলের বাগান, ছোট বড় অনেকগুলো ঝরনা-এ যেন প্রকৃতির অপূর্ব এক সৃষ্টি। প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি এই ক্যকপ্রাং ঝরনা দেখতে এখন প্রতিদিন ভিড় করছে অনেক পর্যটক। নারানগিরি ফেরিঘাট রাজস্থলী হেডকোয়ার্টার ভায়া মিতিঙ্গাছড়ি সড়ক ধরে গাড়িতে ৪ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে হাফছড়ি বাহির পাড়া যেতে হয়। ওখান থেকে হেঁটে ২ কি.মি. পাহাড়ি উঁচু-নিচু পথ ধরে ছড়ার (পাহাড় বেয়ে পানি নামার ফলে তৈরি পানিপ্রবাহ) উপর দিয়ে হেঁটে এই ঝরনায় পৌঁছানো যায়। পথে রাইখালী কৃষি ফার্ম, জগনাছড়ি, হাফছড়ি নিচের পাড়া পথ ধরে ওই এলাকায় পৌঁছানো যায়। পাহাড়ের উপরে পাহাড়ি পরিবার তাদের অপূর্ব জীবনধারা, বিভিন্ন রকমের ফলের বাগান পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দেবে। বিশেষ করে ছোট গুহা দিয়ে মূল ঝরনায় যেতে আনন্দটাকে আরও মধুময় করবে। কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুনায়েত কাউসার জানান, এলাকাটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিকশিত হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, অ্যাডভেঞ্চার ৪ প্রিয় পর্যটকরা এই পাথরের ঝরনা দেখে মুগ্ধ হবেন। এই ঝরনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রবীর খিয়াং জানান, এত কাছে এই রকম সুন্দর ঝরনা আছে তা আমরা কল্পনা করতে পারিনি। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, যদি সরকার মনযোগ দেয়, তাহলে এটি একটি আর্কষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। এলাকার অধিবাসী কাপ্তাই উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক থোয়াইসাপ্রম্ন চৌধুরী রুবেল জানান, এটা অনেক পুরানো ঝরনা। প্রতিবছর এই ঝরনা দেখতে অনেক পর্যটক আসে এখানে। হাফছড়ি ভিতর পাড়ার কার্বারি থোয়াইসুইনু মারমা, এলাকার যুবনেতা থোয়াই চিং মং মারমা জানান, এখানে একটি মাচাং ঘর বা যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করলে পর্যটকদের জন্য সুবিধা হবে। এছাড়া এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন।