প্রধানমন্ত্রীকে জাফরুলস্নাহ

এখনো সময় আছে সংশোধন প্রয়োজন

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাফরুলস্নাহ চৌধুরী

দুর্নীতিবাজদের অপকর্মের তথ্য প্রকাশ করাসহ সমসাময়িক বিষয়গুলোতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুলস্নাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে চাইলে আগে নিজের বাড়ি থেকে ঠিক করতে হয়। 'পাপিয়াকে ধরে, ওকে ধরে, বিয়ে খেতে না দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। দুর্নীতি বন্ধ করতে চাইলে আগে নিজের বাড়ি থেকে ঠিক করতে হয়। শুরু করতে হবে আপনার বাড়ি থেকে। আপনার পরিবারের কার কী সম্পত্তি আছে, সে তথ্য প্রকাশ করা। এরপর আমাদেরও সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ করেন। এরপর প্রশ্ন করেন, জাফরুলস্নাহর এই সম্পত্তি কোথায় থেকে অর্জিত হলো। কেবল অন্যেরটা দেখব, আমারটা দেখব না- এটা হতে পারে না।' বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগরকেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অন্যদের গ্রেপ্তার-নিপিড়ন-হয়রানি; ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ সারাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নামে মামলা ও সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির উদাহরণ টেনে এনে জাফরুলস্নাহ চৌধুরী বলেন, 'আজকে দুর্নীতি কোথায় পৌঁছেছে, সবচেয়ে বড় দুর্নীতি সরকার স্বয়ং। এখানে মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার হরণ করে, এখানে মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, এর চেয়ে বড় দুর্নীতি কী হতে পারে? মালেকের দুইতলা, সাততলা দুটি বাড়ি, আফজালের ১০টা বাড়ি, বা ১০ কোটি থেকে অনেক বেশি দুর্নীতি আমি মনে করি সরকারের। সরকার তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছে।' তিনি বলেন, 'সরকারের অন্যায় আচরণ দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আজকে সরকারকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই, এখনো সময় আছে, সংশোধন প্রয়োজন।' ভিপি নুর প্রসঙ্গে জাফরুলস্নাহ চৌধুরী বলেন, ছাত্র রাজনীতি একটা প্রসেশন (মিছিল) করে, তাদের বের হতে দেবেন না, সেটা তো হয় না। আপনারা জনগণকে বের হতে দিচ্ছেন না। সে জন্য দেশটা নৈরাজ্যের দিকে চলছে। পুলিশি ধরপাকড়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'যখন দেশে অনাচার বেড়ে যায়, ব্যথায় মানুষ নীল হয়ে যায়, তখনই ছাত্রসমাজ জাগে, ছাত্রসমাজ সচেতন করে। যখন চূড়ান্তরকম অব্যবস্থাপনা তখনই ছাত্রসমাজ রাস্তায় নামে। সেদিনও যারা রাস্তায় নেমেছে, তারা কি গাড়ি ভেঙেছে? কাউকে মেরেছে? পুলিশ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে উল্টা তাদের নামে মামলা দিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে অগণতান্ত্রিক ও অনৈতিক আখ্যা দিয়ে ডা. জাফরুলস্নাহ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিট আইন বিনা বিচারে হত্যার শামিল। রাজনীতিবিদদের সহনশীল হতে হবে। ক্রিটিসিজম (সমালোচনা) সহ্য করতে হবে। এখানে মনে রাখা দরকার, দুর্নীতির কোন পর্যায়ে আছি আমরা। সরকার তো নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত।