মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী বাণিজ্য মেলা শেরেবাংলা নগরেই!

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটক -ফাইল ছবি

ব্যয় না বাড়িয়ে 'বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার' (বিসিএফইসি) প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হচ্ছে। ফলে আগামী বাণিজ্য মেলা সেখানে হবে কি না তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। আর ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্য মেলার নতুন ঠিকানা হওয়ার কথা ছিল পূর্বাচলের ওই নতুন ঠিকানায়। পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে চীনা সরকারের অনুদানে নির্মিত হচ্ছে 'বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার'। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরও তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। জায়গা নিয়ে জটিলতা আছে। ওই এলাকার রাস্তাঘাটও ভালো নয়। রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, প্রদর্শনীকেন্দ্রের মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। তবে আনুষঙ্গিক কিছু কাজও বাকি রয়েছে। সে কারণে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। তবে সরকার চাইলে আগামী বাণিজ্য মেলা প্রদর্শনীকেন্দ্রে নিতে পারে বলেও জানায় ইপিবি সূত্র। প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, 'বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়াতে হবে। তবে ব্যয় বাড়াতে হবে না। মেলা প্রাঙ্গণকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে আরও কাজ করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা করে দিতে আরও এক বছর সময় লাগবে।' চলতি বছরে বাণিজ্য মেলা কি পূর্বাচলে হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সরকার চাইলে বাণিজ্য মেলা পূর্বাচলে হতে বাধা নেই।' ইপিবি সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের ওপর বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপারসন এ এইচ এস আহসান। রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর কনফারেন্স কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রকল্প পরিচালক জানান, যেহেতু প্রকল্পের সব কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে না, সে কারণে প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) ৭ মে'র সভায় ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এক্সিবিশন সেন্টারের সব কাজ সম্পন্ন করে বাংলাদেশের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চীনা পক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি কারিগরি কমিটি এবং একটি বুঝে নেওয়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'এক্সিবিশন সেন্টারটি ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোডের মোড় থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সহজ ও স্বল্প ব্যয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা নেই। রাস্তাগুলো ভালো অবস্থায় নেই।' তিনি সেখানে উলেস্নখ করেন, সেন্টারের পাশ দিয়ে যে ঢাকা-বাইপাস রাস্তা গেছে, তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন এবং এক্সিবিশন সেন্টারসংলগ্ন অন্যান্য ফিডার রাস্তা রাজউকের। সেখানে ডিআইটিএফসহ অন্যান্য বাণিজ্য-পণ্য প্রদর্শনী করতে হলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের (বিআরটিসি) মাধ্যমে বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তা না হলে সেখানে সব শ্রেণির স্টেকহোল্ডাররের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রদর্শনী ও মেলা সফলভাবে আয়োজন করা কঠিন হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে