একনেকে ৫ প্রকল্প অনুমোদন

অপ্রয়োজনীয় সড়ক না করার নির্দেশ

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ইলিশ উন্নয়নসহ একনেকে ৫ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। প্রকল্পগুলোর পুরো টাকাই দেবে সরকার। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। খরচে পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) শামীমা নার্গিস। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, 'অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নিজের বাড়ির সামনে অপ্রয়োজনীয়ভাবে রাস্তা নির্মাণ বা প্রশস্তকরণ করার মানসিকতা বাদ দিতে হবে। কৃষিজমি রক্ষায় নতুন রাস্তার চেয়ে বিদ্যমান রাস্তা সংস্কারে জোর দিতে হবে। এছাড়া ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খাঁচায় অন্যান্য মাছ চাষের জন্য প্রশিক্ষণের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।' তিনি বলেন, 'সরকারের প্রতিশ্রম্নতি রয়েছে প্রত্যেক উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল করা। সেজন্য ৪০টি উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যারা বিদেশ থেকে ফেরত আসছেন তাদেরও প্রশিক্ষণ এবং অর্থ প্রণোদনা দেওয়া হবে। যাতে তারা আবারও বিদেশ গিয়ে বেশি আয় করতে পারেন।' এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'প্রকল্প পাস হওয়া মানে টাকা খরচ নয়। আমরা প্রকল্প চলমান সময়েও নজরদারি করছি। আইএমইডি আছে তারা কাজ করছে।' এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আকন্দ বলেন, 'বিশ্বের বেশিরভাগ পরিমাণ ইলিশ আমাদের এই অঞ্চলেই হয়। বাংলাদেশে উৎপাদন হয় ৬০ শতাংশ। নানা কারণে ইলিশ প্রজনন ও চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেজন্যই ইলিশ উন্নয়ন প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।' মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের 'ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা' প্রকল্পে খরচ হবে ২৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের 'জামালপুর জেলার দিগপাইত-সরিষাবাড়ি-তারাকান্দি সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ' প্রকল্প। এতে খরচ হবে ২৭৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের 'সীমান্ত এলাকায় বিজিবির ৭৩টি কম্পোজিট/আধুনিক বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ' প্রকল্প। এতে খরচ হবে ২৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের '৮টি সরকারি শিশু পরিবারে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট শান্তিনিবাস স্থাপন' প্রকল্প। এতে খরচ হবে ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের '৪০টি উপজেলায় ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও চট্টগ্রামে একটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি স্থাপন (প্রথম সংশোধন)' প্রকল্প। এতে খরচ হচ্ছে ৩৩৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।