বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

'ওয়ার্ক পারমিট' জটিলতা সিঙ্গাপুরেই ফিরে গেলেন বিজন কুমার শীল

যাযাদি রিপোর্ট
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
ড. বিজন কুমার শীল

করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেরর্ যাপিড টেস্টিং কিট উদ্ভাবক দলের প্রধান অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল ওয়ার্ক পারমিট জটিলতায় সিঙ্গাপুরে ফিরে গেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম প্রধান মিন্টু জানান। বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নেওয়ায় বাংলাদেশে কাজ করার জন্য এখন তার ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন হয়। ওয়ার্ক পারমিট নিয়েই তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত জুলাই মাসে তার পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পরে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হলেও তাতে প্রক্রিয়াগত জটিলতা দেখা দেয়। জাহাঙ্গীর আলম প্রধান মিন্টু বলেন, 'ভিসা জটিলতার কারণে তাকে সিঙ্গাপুরে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, জটিলতার অবসান ঘটলে শিগগিরই আবার বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।' ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বৃদ্ধি হবে কি হবে না সেই দুশ্চিন্তার কথা গত সপ্তাহে জানিয়ে ৬ ড. বিজন বলেছিলেন, 'আমার ওয়ার্ক পারমিটের জন্য গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করছি, প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগবে। প্রক্রিয়া বা আইনের প্রতি আমি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। বিশেষ কারণে আমি অন্য একটি ভৌগোলিক অংশের বাসিন্দা। কাগজপত্র অনুযায়ী আমার সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট। আমি সে দেশের নাগরিক। কিন্তু বাংলাদেশ তো আমার জন্মভূমি। সেই দেশের ওয়ার্ক পারমিট পাব না, কল্পনাও করতে চাই না। এমন তো না যে আমি অর্থের জন্য চাকরি করতে এসেছি। এর চেয়ে পাঁচ-সাত গুণ বেশি সুযোগ-সুবিধায় সিঙ্গাপুরসহ উন্নত দেশে কাজ করা মোটেই কঠিন কিছু নয়।' ওয়ার্ক পারমিট পেলে সেই কাগজপত্র সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসে জমা দিতে হবে বিজনকে। দূতাবাস তখন এমপস্নয়মেন্ট ভিসা দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে। আর তখন হয়তো আবার বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। ড. বিজন কুমার শীলের জন্ম নাটোরের বনপাড়ায়। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান সিঙ্গাপুরে থাকেন। ২০০২ সালে সিঙ্গাপুরের সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার সময় সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০০৩ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সার্স ভাইরাস প্রতিরোধের গবেষণায় সিঙ্গাপুর সরকারের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন বিজন। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তিন বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পান ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রম্নয়ারি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংকটের শুরুর দিকে যখন কিট সংকট প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল, তখনই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তের্ যাপিড কিট (জিআর কোভিড-১৯ ডট বস্নট কিট) উদ্ভাবনের খবর দেন বিজন কুমার শীল। কিন্তু 'মানোত্তীর্ণ' হয়নি বলে সেই কিটের অনুমোদন দেয়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে