আজকের যায়যায়দিন

অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড অপসারণে মোবাইল কোর্ট চলাকালে সংশ্লিষ্টদের ফোন না করতে বলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। শুক্রবার রাজধানীর বনানীতে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন মেয়র। এর আগে সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড না সরাতে কয়েকশ ফোন পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ। অভিযানে প্রায় পঞ্চাশটি অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এসব বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড নিলামে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আতিকুল ইসলাম বলেন, অভিযান চলাকালে অনেকেই ফোন করে অনুরোধ করছেন। অনেকে সময় চাইছেন। কেউ বলছেন আমার সাইনবোর্ডটা ভাঙবেন না। কেউ কেউ বলছে আপনি তো ফোন রিসিভ করেন না। 'যখন মোবাইল কোর্ট চলবে, উচ্ছেদ চলবে, আমাকে কেউ ফোন করবেন না। ফোন করলেও আমি ধরব না।' ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অনেকেই কোনো ধরনের আইন, নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে, যে যার মতো সাইনবোর্ড, শপ সাইন, এলইডি সাইন লাগাচ্ছেন। আইন ও নীতিমালার বাইরে কাউকে কিছু করতে দেওয়া হবে না। যে যা কিছুই করেন না কেন, সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। আতিকুল বলেন, যখন ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন, সেখানে সাইনবোর্ডের মাপও উলেস্নখ করা হয়েছে। ৩ ফুট বাই ৪ ফুট সাইনবোর্ডের অনুমোদন নিয়ে যদি ৩০ ফুট বাই ৪০ ফুট সাইনবোর্ড তৈরি করেন, সেখানে যদি এলইডি লাইট লাগানো হয়, সেটা অবৈধ। উনারা ব্যবসা করছেন, পয়সা বানাচ্ছেন। এভাবে আইন অমান্য করে ঢাকা শহরে ব্যবসা করতে পারবেন না। পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির সব এলাকায় অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, এভাবে সাইনবোর্ড লাগানোর ফলে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, আকাশ দেখা যায় না। অবৈধভাবে সাইনবোর্ড যারা লাগান, তারা নিজেদের অনেক ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করেন।