মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

র‍্যাব-পুলিশ হত্যা মামলার আসামি সালাউদ্দিন গ্রের্প্তারযাব-পুলিশ হত্যা মামলার আসামি সালাউদ্দিন গ্রেপ্তার

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

সাভার থানার এসআই হত্যা এবং ২০০৭ সালের্ যাবের দুই সদস্য হত্যা ও পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্র লুটসহ একাধিক মামলার আসামি গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকের্ যাব-৪ এর একটি দল আমিনবাজার এলাকার সালেহপুরে অভিযান চালিয়ে সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিনকে দুই সহযোগীসহ আটক করে। এ সময় ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ১৯০ গ্রাম হিরোইন, ৫০০ পিস ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্ যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (অপস) সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গাংচিল বাহিনী ২০০২ সালে সাভার থানার একজন এসআইকে হত্যা, ২০০৭ সালে দুজনর্ যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট এবং আমিনবাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্রলুটের সঙ্গে জড়িত ছিল। এ বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীর বালুভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতি ও আমিনবাজার এলাকার শতাধিক ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করত। এছাড়া এলাকার প্রভাবশালীদের টার্গেট করে গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ তুরাগ আর বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ছিল এই বাহিনীর প্রধান কাজ। জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, ২০০০ সাল থেকে সাভার, আমিনবাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার মধ্যদিয়ে উত্থান হয় গাংচিল বাহিনীর, যার প্রধান ছিলেন আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করায় এর নাম দেওয়া হয় 'গাংচিল বাহিনী'। ২০১৭ সালে আনারের মৃতু্যর পর তার সহযোগী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকায় আবারও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু হয়। এ বাহিনী মূলত আমিনবাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাঁধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুনসহ অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, তারা সব সময় নদী ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করত। এছাড়া বেশিরভাগ সময় নদীপথে যাতায়াত করে। তাদের যাতায়াতের বাহন ছিল ডবল ইঞ্জিনচালিত ট্রলার। সাভার-আমিনবাজার এলাকার বিভিন্ন ইটভাটার মালিক ও তুরাগ-বুড়িগঙ্গা নদীতে চলাচলকারী বালুভর্তি ট্রলার মালিকের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করত তারা। উলেস্নখ্য, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে আগে সাভার মডেল থানায় খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারির একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন। গ্রেপ্তার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে