আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত সম্পাদক মাহফুজ আনামের লেখা 'আফটার থার্টি ইয়ার্স অব অটোক্রেসিস ডিমাইস' শিরোনামের নিবন্ধের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'মাহফুজ আনামদের সাংবাদিকতা বস্তুনিষ্ঠতার জন্য মুখোশ কি না, সেটি এখন জনমনে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। মাহফুজ আনাম তার ফরমায়েশি, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত 'একদেশদর্শী' প্রবন্ধে ২১ আগস্ট ও দেশনেত্রীকে (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন সেটি আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।' তিনি নিবন্ধটিকে 'নির্জলা মিথ্যাচার, বিভ্রান্তিকর, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসংলগ্ন' মতামত বলেও আখ্যায়িত করেন।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মাহফুজ আনামের ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম কুশীলব মাহফুজ আনাম মুখে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে চিৎকার ৬
করলেও তিনি আপন স্বার্থসিদ্ধির জন্য গণতন্ত্র হন্তারকদের নাটের গুরু, ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক। গণতন্ত্রের কথা বলতে গিয়ে মাহফুজ আনাম ইনিয়ে বিনিয়ে বারবার বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন, যা হলুদ সাংবাদিকতা এবং বর্তমান মিডনাইট সরকারের নির্লজ্জ স্তুতিরই সমতুল্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
'মাইনাস টু ফর্মুলার' বাস্তবায়নে সে সময় দেশের রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তারের 'পটভূমি রচনার ক্ষেত্রে' ডেইলি স্টার সম্পাদক 'গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন' বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, 'মাহফুজ আনামদের চোখে সব দোষ রাজনীতিকদের, রাজনীতিবিদরা সবাই যেন চাঁদাবাজ-চোর। তারাই কেবল অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ এনে ডেইলি স্টার পত্রিকায় তালিকাও ছাপা হয়েছিল। জেলে ঢোকানো হয়েছিল দেড় শতাধিক নেতাকে।'
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আজিজুল বারী হেলাল, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফুল আলম নিবর, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, রাজীব আহসান, আসাদুল করিম শাহিন উপস্থিত ছিলেন।