চোরাই মোবাইলসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ১২ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বুধবার বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইল ফোনসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ছবিটি বৃহস্পতিবার সিআইডির মিডিয়া সেল থেকে তোলা -যাযাদি

মোবাইল ফোনের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকু্যইপমেন্ট আইডেন্টিটি) পরিবর্তন করার ডিভাইস ও বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইল ফোনসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তাররা হলেন-মুরাদ খান (২৩), লাভলু হাসান (২০), আল-আমিন ওরফে অনিক (২২), বশির আলম শুভ (৩০), আব্দুল মালেক (৩২), মো. তামিম (২০), শাহ আলম (৩৬), স্বপন (৩৪), জাহাঙ্গীর আলম (২৬), ইমাম হাসান (২২), মো. আরিফ (৩৪) ও আল আমিন (২০)। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিআইডি ঢাকা মেট্রো পূর্বের একটি টিম চোরাই মোবাইল ফোন কিনে বিভিন্ন ডিভাইস ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করে মার্কেটে বিক্রয়কারী চক্রের ওই ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। সিআইডি বলছে, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মহানগর এলাকায় মোবাইল চোরচক্রের কাছ থেকে স্বল্প দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ক্রয় করে আইএমইআই পরিবর্তন করার ডিভাইস ব্যবহার করে সমাজের ক্ষতি করে আসছিল। বৃহস্পতিবার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অ্যাডিশনাল ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার। তিনি বলেন, 'ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন অপরাধী হত্যাসহ ছিনতাই, ডাকাতি করে মোবাইল নিয়ে গেলেও আগে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহজেই অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারত। কিন্তু সংঘবদ্ধ এই চক্রটি মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করার কারণে চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটনসহ প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।' গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার মুরাদ খান ও লাভলু হাসান শহরের বিভিন্ন চোরের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ফোন কিনে তার লক খোলা এবং মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করার জন্য অনিক, বশির ও মীম টেলিকমের মালিক আব্দুল মালেকের কাছে দিতেন।' 'অনিক, বশির ও মালেক ডিভাইস ব্যবহার করে মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করত। এরপর সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে নির্ধারিত মূল্যের কম মূল্যে মোবাইলগুলো বিক্রি করত। চোরাই ও আইএমইআই পরিবর্তন করা ২৬৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল, আইএমইআই পরিবর্তন করার ৯টি ডিভাইস উদ্ধার করা হয় তাদের কাছ থেকে।' চক্রের সদস্যরা এ ডিভাইসগুলো গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটের মাসুদ টেলিকম ও কবির টেলিকম থেকে কেনেন। সিআইডির এ কর্মকর্তা আরও জানান, ডিভাইসগুলো চায়না থেকে আনা। মাসুদ এবং কবির টেলিকম অবৈধভাবে ডিভাইসগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলমান।