শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে :প্রধানমন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে অংশ নেন -ফোকাস বাংলা

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বলেই কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এবং সেই সময় তাৎক্ষণিকভাবে যে কাজগুলো করা দরকার ছিল সেটা যথাযথভাবে করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্ত হয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন শেখ হাসিনা। কে কী বলল, কে কী লিখল ওইদিকে কান না দিয়ে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাজ করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনার নিজের উপর বিশ্বাস থাকতে হবে, নিজের ওপর আস্থা থাকতে হবে। যে আপনি সঠিক কাজটি করছেন কিনা? যদি সেই আস্থাটা থাকে, তাহলে সে কাজের ফল দেশবাসী পাবে, দেশের মানুষ পাবে। আমি মনে করি, আমরা সঠিক পথে আছি কীনা এটা নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। সবাই যখন কাজ করবেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ আসবে, দুর্যোগের জায়গাই বাংলাদেশ। সেই দুর্যোগ মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের অর্থনীতি যাতে কোনোরকম বাধাগ্রস্ত না হয় বা গতিশীল থাকে আমরা যে প্রণোদনা প্যাকেজগুলো দেওয়া শুরু করলাম এটা কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ আমাদের আগে দিতে পারেনি। আমরাই প্রথম। অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু দিতে গেলে কিপটেমি করে উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার কিন্তু তারা কিপটেমি করেনি। সে কারণেই আজকে আমরা সবাইকে প্রণোদনা প্যাকেজ দিতে পেরেছি। এ প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়ার ফলে আমাদের অর্থনীতির চাকাটা সচল থেকেছে। ডিজিপির প্রায় ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ হিসেবে দিয়েছি। নগদ টাকা দিয়েছি। সরকারি টাকার বাইরে আমি নিজে অর্থ সংগ্রহ করে সহায়তা দিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে, প্রত্যেকেই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। করোনা মহামারির সময়ে অনেক ডাক্তার মারা গেছেন, নার্স মারা গেছেন, স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। তারা কিন্তু সবাই কাজ করেছেন। আমাদের দেশে একশ্রেণির লোক থাকে, তাদের সমালোচনাটা করাই অভ্যাস। পান থেকে চুন খসলে পরে অনেক কথা বলবে, কিন্তু নিজেরা কিছু করবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয়ে আপনাদেরকে শুদ্ধাচার বিষয়ে নিজস্ব একটা পরিকল্পনা নিতে হবে। আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে তার নিচের স্তর পর্যন্ত এই পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং তা যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। যারা এটা কার্যকর করতে পারবেন, তারাই পুরস্কৃত হবেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশ একটা ইজ্জতহীন দেশে পরিণত হয়েছিল। সব জায়গায় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে চলত। যেটা আমার খুব কষ্ট হতো। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা আবার শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কেন্দ্রে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে