বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
ছাত্রলীগের আলোচনা সভায়

হত্যা-গুম শুরু করেছিলেন জিয়া :প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগামী প্রজন্মের জন্য একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কোনো কাজই অবহেলা নয়, এটা ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে
যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় 'মাতৃভূমি' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন -ফোকাস বাংলা

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হত্যা-গুম জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। জিয়া ও তার স্ত্রী এবং ছেলে- সবার হাতে রক্তের দাগ। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন। অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করেছেন নির্মমভাবে। অনেকের লাশ গুম করে দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বিকালে গণভবন থেকে এই আলোচনা সভায় যুক্ত হন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয়। সভা সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা করোনাকালে মানুষের লাশ দাফন করেছে। তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে। যারা হাত পেতে সাহায্য চাইতে পারে না ছাত্রলীগের কর্মীরা গোপনে গিয়ে তাদের সহযোগিতা করেছে। কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তোমরা ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিয়েছো। বন্যার সময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করেছো। এ জন্য তোমাদের ধন্যবাদ। আমি খুব আনন্দিত। এর মাধ্যমে সারাদেশের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগামী প্রজন্মের জন্য একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কোনো কাজই অবহেলা নয়, এটা ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে। জিয়া পরিবারের নানা অপকর্মচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এদের তো কোনো শিক্ষাদীক্ষা নেই। সে কারণে ক্ষমতাকে তারা ভোগের ৪ \হবস্তু হিসেবে দেখে। তাই ক্ষমতায় থাকতে, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে এবং খুন করতে তারা কোনো দ্বিধাবোধ করেনি। কিন্তু আমরা সেটা করি না, আমরা ক্ষমতাকে দায়িত্ব মনে করি। এ কারণেই ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন এই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি। দেশকে ধ্বংস করার জন্য যা কিছু করা দরকার সবকিছুই করেছেন জিয়া। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাহাজ কিনেছিলেন হজ করার জন্য। জিয়াউর রহমান সেটাকে প্রমোদতরি বানিয়েছিলেন। ছেলেমেয়েদের বহুমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছি। প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আগে মাত্র একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আরও কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। কৃষির ওপর গবেষণার জন্য আলাদা বরাদ্দ রেখেছি। সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। গবেষণা না করলে এগোতে পারব না। স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবল দিচ্ছি, প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা নেটওয়ার্ক তৈরি করে দিয়েছি। যাতে ছেলেমেয়েরা কম্পিউটারে আউটসোর্সিং শিখতে পারে। গ্রাম পর্যায়ের মেয়েরা এখন আউটসো?র্সিং ক?রে আয় কর?ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে