প ঙ্ ক্তি মা লা
প্রকাশ | ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
অনুর্বর মস্তিষ্ক
আজহারুল ইসলাম আল আজাদ
আমি নীল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স,
বাজ অলড্রিন নই যে তোমাকে,
চাঁদ থেকে মাটি এনে দিব।
আমি টমাস আলভা এডিশন নই যে
ডিমে তা দিয়ে ছানা বের করে দিব।
আমি লিউনার্দোদা ভিঞ্চি নই যে
তোমার ছবিটি একে দিব।
আমি রবীন্দ্রনাথ নই যে গীতাঞ্জলি
লিখে বিশ্ব কবি হব।
আমি নজরুল নই যে দ্রোহের
কবিতা লিখে বিদ্রোহী কবি হব।
আমি জসীমউদ্দিন, বন্দে আলী
সুফিয়া কামাল নই যে কবিতা
লিখে নাম যশ ও পদক পাব।
সে আশাও কখনো করিনি।
আমি এক হিংসুটে বাঙালি,
হিংসে করে তোমাকে থামাতে চাই,
তোমার দৌড়াত্ম্য আমাকে জ্বালায়
চোখ টাটায় তোমার উর্বর মস্তিষ্ক
দেখে আমার বড্ড ভয় হয়,
না জানি তুমি নোবেল পেয়ে যাও।
ছি. ছি. আমি কেন এসব ভাবছি?
তেলাপোকা দেখেই যে চিৎপটাং,
তার আবার আবিস্কার জ্যোতিষ্ক,
দূর ! এসব করাওতো সম্ভব নয়
আমার যে অনুর্বর মস্তিষ্ক।
রক্ত ভেজা প্রাণ পতাকা
আলমগীর কবির
রক্ত ভেজা প্রাণ পতাকার
নাম দিয়েছি আশা,
নাম দিয়েছি স্বপ্ন আমি
ভাইয়ের ভালোবাসা।
নাম দিয়েছি সাহস ডানা,
নাম দিয়েছি সুখ,
নাম দিয়েছি চাঁদ জোসনা
আলোয় ভরে বুক।
নাম দিয়েছি স্বাধীনতা
নাম দিয়েছি জয়,
বাংলা মায়ের মাথার মুকুট
নেই কোনো সংশয়।
নাম দিয়েছি আবেগ আমি
নাম দিয়েছি টান,
রক্ত ভেজা প্রাণ পতাকা
বাড়ায় দেশের মান।
অবনত
আব্দুলস্নাহ আল মামুন
কত বৃক্ষ আজ বৃদ্ধ হয়ে
ঝুঁকে পড়েছে তৃণের দিকে
কত মেঘ ফুলতে ফুলতে
ভারী হয়ে নেমে এসেছে তরলভাবে।
কত চঞ্চল অবাধ্য স্রোত
নত হলো চরের শুকনো বালুতে।
সে ইতিহাস কে ঘেঁটে দেখে
কে শেখে নত হতে হয়ে দিন শেষে
মহাকালের অন্ধকার বসে আছে
স্থির করে তোমাকে শায়িত করবে বলে।
মুক্ত বিহঙ্গ
সানজিদা জাহান শাম্মী
আমিও হতে চেয়েছিলাম মুক্ত গগণে মুক্ত বিহঙ্গ
হতে পারলাম কই
পিস্তলের গুলি এসে লাগল আমার একটি ডানায়
আমি অপর ডানাটি দিয়ে উড়তে চাইলাম
আরও কয়েকটি গুলি এসে লাগল আমার বুকে।
গুলিতে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে আমার বুক
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরতে লাগল
আমি লুটিয়ে পড়লাম মাটিতে
আবছা চোখে দেখছিলাম আকাশ আমাকে ডাকছে।
ততক্ষণ আমি বুঝে গিয়েছিলাম
আমার আর আকাশের মধ্যে বিস্তর ফারাক
আমি আর উড়তে পারব না, সেই সাধ করে ফেলেছি দাফন
অশ্রম্নজলে ভেজা আঁখি শেষবারের মতো ফেলল পলক।
ঠিক তখনি শুনতে পেলাম শ্রম্নতিমধুর ধ্বনি
আমাকে আহ্বান করছে ওই মুক্ত আকাশ
আমি আর ফিরব না তোমাদের এই মিথ্যা কুহকজালে
আমাকে ঋণী করো না।