বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নেছারাবাদে চারা রোপণ কর্মসূচি

মো. তরিকুল ইসলাম
  ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
চারা রোপণ করছেন সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম সামসুর রহমান (বাঁ থেকে ২য়)

পিরোজপুর জেলার নেছাররাবাদ উপজেলার যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের বন্ধুদের উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। দক্ষিণ বাংলার স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজে প্রাঙ্গণে ফলদ গাছের চারা রোপণ করা হয়। গাছের চরা রোপণ করেন সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম সামসুর রহমান, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক অনিমেষ বোস, যায়যাদিনের মাল্টিমিডয়া প্রতিনিধি মো. তরিকুল ইসলাম, ফ্রেন্ডস ফোরামের সদস্যসচিব সানজিদা রহমান শুভ্রা, ফ্রেন্ডস ফোরামের সদস্য ও সরকারি স্বরূপকাঠি কলেজের শিক্ষার্থী বন্ধুরা। চারা গাছ রোপণ সংক্ষিপ্ত আলোচনায় যে প্রসঙ্গটি উঠে আসে সেটি হল গাছ সবারই বন্ধু, গাছ প্রধানত অক্সিজেন সরবরাহ করে, বায়ুমন্ডল পরিশোধন করে, মাটির ক্ষয়রোধ করে, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে, প্রাণিজগতের খাদ্য সরবরাহ করে। অথচ গাছ লাগাতে প্রায় অবহেলা করেই যাচ্ছি। প্রয়োজনে পরিপূর্ণ বয়সের গাছ কাটতে হবে কিন্তু যে গাছটি কাটা হবে সে গাছটির অভাব পূরণ করতে পারবে সে হিসাব করে আগেই আরও প্রয়োজনীয় গাছ লাগাতে হবে। মানুষসহ প্রাণীজগতকে বেঁচে থাকার জন্য যে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তা গাছ থেকেই আসে। পৃথিবীতে যত বেশি গাছের চারা রোপণ করা হবে, তত বেশি পরিবেশ সুন্দর হবে ফুল ফলে সমৃদ্ধ হবে। মানুষসহ অন্যান্য প্রাণিজগৎ যে কার্বন-ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে তা দিয়ে গাছ সালোক সংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করে। গাছ ছাড়া প্রাণিজগতের বেঁচে থাকা একেবারেই অসম্ভব। এই গাছ জ্বালানির কাজেও ব্যবহার করা হয়। কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। বর্তমানে শিল্পকর্মের প্রসার ঘটার কারণে অযথা গাছ কাটা হচ্ছে। তার ফলেই সমস্ত জীবজগতের ওপর হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে। একদিকে গাছ কাটা অন্যদিকে দাবানলে পুড়ে ধ্বংস হচ্ছে পৃথিবীর বনভূমি। ফলে পৃথিবীতে গাছের সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে। এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঝড়ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা প্রভৃতি দিন দিন বেড়েই চলছে। গাছপালা থেকে আমরা খাদ্য, পোশাক, নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই পেয়ে থাকি। কাজেই গাছের প্রতি আমাদের সবারই যত্নবান হওয়া উচিত। অক্সিজেন তো রোপণ করা যায় না। আবার একে চোখেও দেখা যায় না। অনুভব করা যায়। গ্রহণ করা যায়। অভাব হলে বোঝা যায়। অনেক বেশি ঘাটতি হলে প্রাণ যায়। এত প্রয়োজনীয় অক্সিজেনকে আমরা কেন রোপণ করছি না? অর্থাৎ উৎপাদন করছি না কেন? এখন সময় এসেছে অক্সিজেন রোপণ করার। প্রকৃতিতে অক্সিজেন উৎপাদন করে বৃক্ষরাজি গাছপালা, লতাপাতা। তাই বেশি বেশি করে গাছের চারা রোপণ করে পরিবেশ বাঁচাতে হবে নিজেদের বাঁচতে হবে।

উপদেষ্টা

ফ্রেন্ডস ফোরাম নেছারাবাদ, পিরোজপুর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে