কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রথম শহীদ মিনারটি এলাকার নতুন প্রজন্মের জন্য যথাযোগ্যভাবে সংরক্ষণের দাবি তুলেছেন এখানকার বিবেকবান ও দেশপ্রেমিক মানুষ। অবহেলায় পড়ে থাকা এই ঐতিহ্যবাহী শহীদ মিনারকে সম্মান জানিয়ে এটি সংরক্ষণ করা সময়ের দাবি বলেও জানান তারা।
১৯৭২ সালে এলাকার কয়েকজন দেশপ্রেমিক যুবক সিদ্ধান্ত নেন ইট-সিমেন্টের একটি পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার নির্মাণের।
পরে দেশ স্বাধীনের এক বছর পর শহীদ দিবসে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার এই প্রথম শহীদ মিনারটি শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেই থেকে প্রথম শহীদ মিনারটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর একুশে পালন হয়ে আসে। কিন্তু কাছারি মাঠ সংলগ্ন আরেকটি শহীদ মিনার করা হলে ওই শহীদ মিনারটিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘোষণা করেন উপজেলা প্রশাসন। সেই থেকে ফুলবাড়ী উপজেলাবাসীর ঐতিহ্যবাহী শহীদ মিনারটি পড়ে অবহেলায়। বর্তমান এই শহীদ মিনারটিকে ভেঙে ফেলার পাঁয়তারা করলেও স্থানীয় বিবেকবান ও দেশপ্রেমিক মানুষ সোচ্চার হন।
তাই ফেব্রম্নয়ারি প্রভাত ফেরিতে এলাকার ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য সংগঠন ফুলবাড়ী সাহিত্য পরিষদ, যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরাম, ফুলবাড়ী মডেল প্রেস ক্লাব, জাসদ শ্রমিক জোট ও এবি পার্টির উদ্যোগে ঐতিহ্যের শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ঐতিহ্য রক্ষার্থে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক ইউসুফ আলী সংগ্রামী বলেন, এ ঐতিহাসিক স্থানটি যে কোনো মূল্যে টিকিয়ে রাখতে হবে।
স্থানীয় আর্ট শিল্পী আলী আজগার তফিকুল ইসলাম তপন বলেন, শহীদ মিনার কখনো পরিত্যক্ত হয় না। এটি সংরক্ষণের দায়িত্ব সবার।
উপদেষ্টা
ফ্রেন্ডস ফোরাম ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।