লক্ষ্ণীপুরে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতু্যদন্ড করার দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ -যাযাদি
সারাদেশে ধর্ষণ, ছিনতাই ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ধর্ষণ, ছিনতাই ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ও বন্ধের দাবিতে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী রাইয়ান বিন কামাল, ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি ও মাইশা মেহজাবীন। বক্তারা ৪৭ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানান। একই সঙ্গে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যগে বাধ্য করা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
লক্ষ্ণীপুর প্রতিনিধি জানান, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতু্যদন্ড করার দাবিতে লক্ষ্ণীপুরে সড়ক বন্ধ রেখে কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সোমবার লক্ষ্ণীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তার উপরে গোল বৃত্ত আকৃতি হয়ে বসে পড়ে। যার ফলে উত্তর তেমুহনী থেকে শহরের চকবাজার যাওয়ার সড়কটি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
এসময় নারী শিক্ষার্থীরা মাথায় লাল-ফিতা বেঁধে স্স্নোগানে-স্স্নোগানে ফুঁসে ওঠে। এবং তারা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতু্যদন্ড করার জন্য জোর দাবি তুলেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দেশব্যাপী গণ-হারে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েই চলছে। খুন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, লুটপাট ও আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হচ্ছে। দ্রম্নত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ কঠোর করার জন্য দাবি তোলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি জানান, শেরপুরের নকলায় ধর্ষণকারীদের দ্রম্নত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে পুরাতন সিনেমা হল মোড়ে উপজেলা ছাত্রদলের আয়োজনে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রাসেল সরকারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশ গ্রহণ করেন।
উলেস্নখ্য, গত শুক্রবার উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঠাকাটা উত্তরপাড়া এলাকার ও পূর্বটালকী দাখিল মাদরাসার ৫ম শিক্ষার্থী (১৩) নিজ বাড়ি থেকে পাশেই তার দাদির বাড়িতে রাতের বেলায় থাকতে যায়। কিছুক্ষন পরে তার দাদির বাড়িতে যায়নি বলে জানতে পেরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করে। বাড়ির পাশে জনৈক রফিকুল ইসলামের ভূট্টা ক্ষেতে লোকজনের শব্দ পেয়ে সেখানে যায় এবং তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়াদৌড়ি করে কয়েজন পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে চিনতে পারে তারা। ওই ব্যক্তি উপজেলার সালুয়া এলাকার আবু সাইদের পুত্র আশিক। সেখানে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায় শিক্ষার্থীকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।