জুলাই-আগস্টে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা -আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী -যাযাদি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, 'জুলাই-আগস্টে ৩৬ দিনের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনার পতনের পেছনে আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছি।' তিনি গসোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি আয়োজিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার আমাদের সমর্থিত সরকার। কিন্তু তারা যদি নিরপেক্ষতা হারায়, বিশ্বাস হারায়, আস্থা হারায় তাহলে এ দায়দায়িত্ব তাদেরকে নিতে হবে। বিএনপির যারা লড়াই সংগ্রাম করেছিল তারা কিন্তু এখনো ঘরে ফিরে যায়নি। স্থানীয় জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, এখন কিন্তু আবার নতুন বয়ান। ওই বয়ানে ১৬ বছরের কথা নেই, ৩৬ দিনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবদানের কোনো কথা নাই। ওই বয়ানে কিছু ছাত্রনেতার কথাবার্তায় মনে হয় তারা আন্দোলনটাকে হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা এ আন্দোলনকে হাইজ্যাক করতে চাই না। আমরা এখনো বলছি এ আন্দোলনের সফলতা বাংলাদেশের মানুষের সফলতা। বর্তমান সরকারের কাছে নিজের কোনো প্রত্যাশা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। কেন নেই সেটা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য, আইনশৃখংলা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে জনগণের সমর্থিত, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, জনগণের কাছে জবাবদিহির ওয়েট আছে এমন রাজনৈতিক সরকার দরকার। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের বাহক। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আপনারা দেখবেন সব কিছু ক্রমান্বয়ে সহিষ্ণু অবস্থায় ফিরে আসবে। যেটা বিএনপির সময় দেখেছি। তবে আওয়ামী লীগের আমলে দেখি নাই। কেননা শেখ হাসিনা নির্বাচিত ছিল না।' \হসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহমুদ শ্যামল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন সায়েদুল হক সাঈদ, মো. তকদির হোসেন, হাফিজুর রহমান মোলস্না কচি, জহিরুল হক খোকন, মেহেদী হাসান পলাশ, মোঃ জয়নাল আবেদীন, আলমগীর মিয়া প্রমুখ।