মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামে গোপন গুদামে তেলের মজুদ!

২ দোকানিকে জরিমানা
চট্টগ্রাম বু্যরো
  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চট্টগ্রামে গোপন গুদামে তেলের মজুদ!
চট্টগ্রামে দুই মুদির দোকানকে জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তাধিকার অধিদপ্তর -যাযাদি

দোকানে যথাযথভাবে তেলের বোতল প্রদর্শন না করে গোপন গুদামে প্রচুর তেলের সংরক্ষণ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও বাড়তি দামে বিক্রিসহ নানান অভিযোগে দুই মুদির দোকানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তাধিকার চট্টগ্রাম। এছাড়া একটি খুচরা দোকানে তেল না পেয়ে ওই দোকানির বাসায় অভিযান চালিয়ে ৬০ লিটার তেলও উদ্ধার করেন তারা।

রোববার সকালে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোমিন রোড এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়। এতে অর্থদন্ডের পাশাপাশি সতর্ক করা হয়।

জানা যায়, অভিযানে বোতলজাত সয়াবিন তেল বেশি দামে বিক্রি ও অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগে দুই খুচরা ব্যবসায়ীকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে শরীফ স্টোরকে ৫০ হাজার ও স্বপন স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

জরিমানা গুনা ব্যবসায়ীরা জানায়, ভোক্তাধিকার যে জরিমানা করেছে তা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমরা পাইকারদের থেকে তেলগুলো কিনি নাই। পাইকাররা গায়ে মূল্যের চেয়ে বেশি দাম নিয়ে নেন। যেহেতু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সেহেতু খুচরা পর্যায়েও আমাদের বেশি বিক্রি করতে হয়। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল সরবারহ করছে পাইকাররা। পাইকার ও ডিলারদের অভিযানের আওতায় আনতে পারলে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

অভিযান শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উলস্নাহ বলেন, সয়াবিন তেলের গায়ের মূল্যের চেয়ে বেশি দামে শরীফ স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠান তেল বিক্রি করছিল। প্রথমে তারা অস্বীকার করেন। মালিক দোকানের ছেলেরা ভুল করেছে বলে আমাদের জানায়। তিনি ৩৪৫ টাকার জায়গায় ৩৮০ টাকা দাে্‌ম তেল বিক্রি করছিলেন। তাদের দোকানে প্রথমে রুপচান্দা তেল নেই জানালেও আমরা গিয়ে ওই তেল পেয়েছি। তিনি তার দোকানের ডিসপেস্নতে তেল রাখেননি। কিন্তু দোকানের পেছনে তার প্রচুর পরিমাণ তেল আছে। তাকে ক্রয় ভাউচার দেখাতে বললে কিন্তু তিনি সেটা দেখাতে পারেননি। একটি ক্রয় ভাউচার দেখালেও সেটা মাত্র ১৭ কার্টুনের। বাকি তেলের ক্রয় ভাউচার বা হিসেব তিনি দেখাতে পারেননি। এছাড়া তিনি অস্বাস্থ্যকর উপায়ে এখানে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করছেন। অনুমোদিত না এমন জর্দার রঙ তিনি ব্যবহার করছেন। সব মিলিয়ে তাকে আমরা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছি।

ফয়েজ উলস্নাহ বলেন, স্বপন স্টোরের মালিক তার কাছে তেল নেই বলে আমাদের জানিয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য ছিল তার কাছে তেল আছে। সেটা তাকে জানাই। তাও তিনি অস্বীকার করলেন। তিনি জানান তার বাসা বগার বিল এলাকায়। পরে পাশেই দোকান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরেই তার বাসায় অভিযান চালিয়ে আমরা ৬০ লিটার তেল খুঁজে পাই। এছাড়াও তিনি এক লিটার তেলের দাম চেয়েছেন ২০০ টাকা। কিন্তু গায়ে লেখা ১৭৫ টাকা। এসব কারণে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খুচরা দোকানদারদের কাছে তেল থাকলেও তারা কারচুপি করছেন।

ভোক্তাধিকার কর্মকর্তা ফয়েজ উলস্নাহ বলেন, যত বড় পাইকার ও লিডার হউক অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরও অভিযানের আওতায় আনা হবে। বাজার অস্থিতিশীল সৃষ্টিকারী কোন ছাড় নাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে