পাবনার সাঁথিয়ায় দিনদুপুরে আশরাফুল ইসলাম নামে এক যুবকের ২ হাত কর্তন এবং জহির উদ্দিন (৭৫) নামের একজনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় ১৮ জন এবং হত্যার ঘটনায় ১০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রম্নয়ারি) রাতে আশরাফুলের মা হাসি খাতুন ও কল্যানপুর গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করেন। ওই যুবকের ডান হাতের একটি কবজি উদ্ধার করা গেলেও আরেকটি হাতের কবজি এখনও উদ্ধার করা যায়নি। মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কোনো আসামি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রম্নয়ারি) দুপুরে সাঁথিয়া পৌরসভার দক্ষিণ বোয়ালমারী (কলেজ পাড়ার) নুর ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলামকে ৮/১০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সাঁথিয়া পৌর এলাকার ডিজিটাল (টেলিফোন) এক্সচেঞ্জ কার্যালয়ের মধ্যে ধরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। একইদিনে দুপুরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পূর্ব শত্রম্নতা জের ধরে জহির উদ্দিন নামের এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করে।
সাঁথিয়া পৌর বিএনপির আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম জানান, পুলিশের মধ্যে এখনো খুনি হাসিনার দোসরেরা আছে তাই খুনি হাসিনার দোসরেরা এখনো মিটিং মিছিল করার সাহস দেখায়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, আশরাফুল ইসলাম নামে এক যুবকের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন এবং হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।