রাজনীতি নিষিদ্ধ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ১৩২ সদস্যের নতুন কমিটি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
গত বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুলস্নাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এই কমিটি ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেইজে প্রকাশ করা হয়।
কমিটিতে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদকে আহ্বায়ক ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর ইসলাম তামিমকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটিতে মুখ্য সংগঠক হিসেবে আছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবিব হাসান ও মুখপাত্র পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি।
এ ছাড়া কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ২ জন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ১২ জন, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ২ জন, যুগ্ম-সদস্য সচিব ১৪ জন, সংগঠক ১৭ জন, সদস্য হিসেবে আছেন ৮১ জন।
সদ্য পদত্যাগ করা সদস্য রঞ্জন পাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গ্রম্নপে পোস্টের মাধ্যমে জানান, তাকে অবগত না করেই কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। এরপর, নিজের টাইমলাইনে একটি পোস্ট দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সম্পূর্ণরূপে অরাজনৈতিক সংগঠন বলে জানিয়েছেন আহ্বায়ক তুষার আহমেদ। কমিটির সদস্য নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, সদস্য গ্রহণের জন্য তিনটি প্রধান শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রথমত, যিনি পূর্বে শিক্ষার্থী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এবং এখনো আন্দোলনের চেতনা ধারণ করেন। দ্বিতীয়ত, ৫ আগস্টের পর যার বিরুদ্ধে মামলা, চাঁদাবাজি, সহিংসতা বা কোনো বিতর্কিত ঘটনা নেই। এবং তৃতীয়ত, যিনি কোনো রাজনৈতিক পদে নেই। তবে যদি আগে রাজনীতি করে থাকেন, তবে তাকে সেই পদ থেকে অব্যাহতি বা পদত্যাগ করতে হবে। এই তিনটি শর্ত পূরণ করলেই যে কেউ সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
রঞ্জন পালের বিষয়ে তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পাসের মাঈনউদ্দিন নামের একজন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে মাধ্যমে চারজনের একটি তালিকা পাওয়া যায় এবং তাদের ভেরিফাই করতে বলা হয়। মাঈনউদ্দিন নিশ্চিত করেন যে তারা সংগঠনে থাকতে চান এবং কোনো আপত্তি নেই। তবে কমিটি প্রকাশের পর রঞ্জন পাল মত বদলে সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ান।
পদত্যাগকারী শিক্ষার্থী রঞ্জন পাল বলেন, 'আমার সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি। মাঈনউদ্দিন আমার নাম কমিটিতে দিয়েছে, যা মূল ক্যাম্পাস থেকে আমাকে জানানো হয়। এর আগে, তিনি আমাদের গ্রম্নপে একটি নাম্বার দিয়েছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল- যদি কেউ কমিটিতে যুক্ত হতে চায়, তাহলে যোগাযোগ করতে পারে। তবে আমি কখনোই তার সঙ্গে বা ওই নাম্বারে যোগাযোগ করিনি।'