বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

সংস্কারের দুই বছরে দেবে গেছে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবহন প্রতিদিনে ঘটছে দুর্ঘটনা
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক যেন মরণ ফাঁদ
দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট হয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটি সংস্কার ও প্রশস্তকরণের দু-বছর যেতে না যেতেই রাস্তাটি দেবেগিয়ে রাস্তার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উচঁ-নিচু নালা ও খালে, এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজার হাজার যানবহন, প্রতিদিনেই ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।

রাস্তাটিতে সরেজমিনে দেখা যায় দিনাজপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত মহাব্যস্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি সারা রাস্তাটি দেবে গিয়ে উচঁ-নিচু হয়ে বড় বড় নালা ও খালে পরিণত হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা, যশোরসহ সারাদেশ থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়গামী সকল যানবহন ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক দিয়ে এসে গোবিন্দগঞ্জ হয়ে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে, এছাড়া দিনাজপুরের দক্ষিনাঞ্চল ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাটের সাথে দিনাজপুর জেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই আঞ্চলিক মহাসড়টি, ফলে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি সবসময় থাকে ব্যস্থতম।

যানবহনের চালকেরা বলছেন রাস্তাটি দেবে গিয়ে উচঁ-নিচু নালা খালে পরিণত হওয়ায়, নালা থেকে যানবহন সাইট দেওয়া নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, এতেই ঘটে দুর্ঘটনা।

দিনাজপুর কোতোয়ারীসহ ফুলবাড়ী, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানার সুত্রে জানাগেছে গত এক বছওে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটিতে ১১৮টি সড়ক দুর্ঘটনা গটেছে, এতে ৬৭জনের মৃতু্য হয়েছে, তার মধ্যে ঘটনাস্থলে মৃতু্য হয়েছে ৪৫জনের।

দিনাজপুর সড়ক ও জনপদ কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে গবিন্দগঞ্জ থেকে দিনাজপুর ১০৬ কিলোমিটার ৪২ ফুট প্রস্তকরণে ৮৮২ কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। রাস্তাটি ৯টি গুচ্ছের মাধ্যমে ৮টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু করে সংস্কারসহ প্রশস্তকরণ কাজ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ করে।

কিন্তু প্রশস্ত ও সংস্কারের কাজ শেষ করার দুই বছরের মাথায় আবারো রাস্তাটি দেবেগিয়ে উচঁ-নিচঁ খালা খন্দে পরিনত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।

জানতে চাইলে দিনাজপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে দু বছরের চুক্তি রয়েছে, চুক্তির ম্যায়াদ শেষ না হলে ওই প্রতিষ্ঠান গুলোকে দিয়ে আবারো রাস্তাটি মেরামত করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে