যশোরের মণিরামপুর উপজলার কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ভেঙে ওয়াশরুম (টয়লেট) নির্মাণের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে মামলার দুই আসামি কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ (৫৫) ও তার সহযাগী কামিনীডাঙ্গা গ্রামের সুকুমার মলিস্নককে (৬৫) পুলিশ আটক করেছে। বুধবার তাদের আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার কামিনীডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এবং কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একই মাঠে পাশাপাশি অবস্থিত। একই মাঠের এক কোণে ৩০ বছর আগে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। এ শহীদ মিনারে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা, স্বাধীনতা দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে আসছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ১৫ জানুয়ারি কুশারীকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ শহীদ মিনারটি ভেঙে সেখানে টয়লেট নির্মাণের উদ্যোগে নেন। এ ব্যাপারে বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করা হয়। ইউএনও নিশাত তামান্নার নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু মোত্তালিব আলম সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
এদিকে বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান বাদী হয়ে ১১ ফেব্রম্নয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও তার সহযোগী সুকুমার মলিস্নককে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
মণিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, ওয়ারেন্ট পেয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।