গাইবান্ধায় আমের মুকুলের গন্ধে মাতোয়ারা এলাকা
প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার আবহাওয়া আম চাষের উপযোগী। কি শহর কি গ্রামে সব বাড়িতেই আম চাষ হয়। ইদানিং অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করছে এবং ছাদ বাগানেও পুরো জেলা জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে আমের মুকুলের সুশোভিত দৃশ্য ও সুবাসিত পাগল করা মৌ মৌ গন্ধ। মো মো গন্ধ মানুষের মন প্রাণকে করছে পুলকিত। সেইসঙ্গে মুকুলের সংস্পর্শে মৌমাছি ও প্রজাপতির আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। কবির ভাষায় 'ফ্লাগুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল, ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্র মুকুল। চঞ্চল মৌমাছি, গুঞ্জরি গায়, বেনুবনে মর্মরে, দক্ষিণ বায়'।
প্রকৃতিতে এখন মাঘ পেরিয়ে ফ্লাগুন সমাগত তখন দেখা মিলেছে আমের সোনালী মুকুলের সমারোহ ও কোনো কোনো গাছে আমের গুটি লক্ষ্য করা গেছে। মুকুল রক্ষা করতে এবং আমের ফলন বাড়াতে বাগানের মালিকরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। বৈরী আবহাওয়া না হলে আম উৎপাদন আশানুরূপ হবে বলে একাধিক আম বাগান মালিক জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ি উপজেলায় ব্যাপক আমের মুকুল লক্ষ্য করা গেছে। মুকুলের সৌরভ যেন ছড়াচ্ছে আকাশে বাতাসে। পর্যাপ্ত তাপমাত্রা ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আম গাছগুলোতে ব্যাপক হারে মুকুল দেখা দিয়েছে। পরিচর্যার কারণে আমের ফলন বেশী হবে বলে মনে করেন চাষিরা। জেলায় হাঁড়ি ভাঙ্গা, বারী ফোর, থাই কার্ডিমুন, ব্যানানা কিং, আম্রপলী, সূর্যপুরীসহ নানা জাতের আম চাষ হচ্ছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সুন্দরগঞ্জে ৫ জন, সাদুল্যাপুরে ২ জন, ফুলছড়িতে ৫ জন আম চাষ করে আসছে। অন্যান্য উপজেলাগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে আম চাষ হচ্ছে।
ফুলছড়ি উপজেলার আম চাষি সুইটি বেগম জানান, '১০০ শতাংশ জমিতে আম বাগান করেছি। উপজেলা কৃষি বিভাগ চারাসহ নানা ধরণের সহযোগিতা করেছে। আশাকরি সরকারের এ রকম পৃষ্টপোষকতা থাকলে জেলায় আমের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবো।'
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, 'এ বছর গাইবান্ধায় এক হাজার ১৪১ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। এছাড়া ছাদ বাগানে বাণিজ্যিক আকারে দৃশ্যমান ১১টি বাগান ছাড়াও অনেক বাড়িতেই ছাদ বাগানে আম চাষ হচ্ছে। আম চাষিদের প্রয়োজনে সব ধরণের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত আছি।'