বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

মাতামুহুরী নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে সবুজের সমারোহ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মাতামুহুরী নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে সবুজের সমারোহ
মাতামুহুরী নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে সবুজের সমারোহ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফসল। মাইলের পর মাইল চরজুড়ে ধান ও বিভিন্ন রকমারি সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন নদীর তীরবর্তী লোকজন। এতে সুফল পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বিস্তীর্ণ এই মাতামুহুরী নদীতে শতশত একর চরে এসব চাষাবাদ হয়েছে। চারদিকে শুধু সবুজের সমারোহ। চরে রয়েছে ধান, সরিষা, বেগুন, টমেটো, বাদাম ও তামাক ক্ষেত।

সরেজমিন দেখা যায়, সুরাজপুর ও মাঝেরপাড়ি এলাকায় মাতামুহুরী নদীর বিস্তীর্ণ চর জুড়ে ক্ষেত আর ক্ষেত। এসব চরে যে যার মত করে চাষাবাদ করছে। পানির অভাব নেই। কাউকে বর্গা দিতে হচ্ছেনা। বর্ষা মৌসুম আসার আগে কৃষকরা এসব ক্ষেত থেকে ফসল তুলে নেবেন।

স্থানীয় আনসার হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, মাতামুহুরী নদীর এই বিস্তীর্ণ চরে স্থানীয় লোকজন চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন। কেউ ধান, সরিষা, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন।

তবে এক সময়ে স্থানীয় লোকজনের আমিষের ভান্ডার খ্যাত এই মাতামুহুরী নদীতে মাছের দেখা মিলছে না। জেগে ওঠা চরে বিভিন্ন ক্ষেতে সার ও বিষ প্রয়োগের ফলে পানিতে বিষক্রিয়া হয়ে মারা যাচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা মাছ।

পানিও নেই, মাছও নেই। তাই আগের মতো মাছ ধরার কোন দৃশ্য চোখে পড়ে না বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এদিকে বিস্তীর্ণ চর এলাকাজুড়ে চাষাবাদ হওয়ায় এলাকার লোকজনও খুশি।

একসময়ে পার্বত্য উপজেলা লামা-আলীকদমের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই মাতামুহুরী নদী। সড়ক যোগাযোগ হওয়ায় নদী পথে যাতায়াত একদম নেই বললেই চলে।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম হোসেন বলেন, নদীর চরে চাষাবাদে সুফল ও কুফল দুটোই আছে। একদিকে চরে চাষাবাদ করে স্থানীয় কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন, অন্যদিকে এসব চাষাবাদে সার-কিটনাশক প্রয়োগের ফলে মারা যাচ্ছে মাছ।

নাব্য সংকট ও ক্ষেতে বিষ প্রয়োগের ফলে তা নদীতে গড়িয়ে পড়ায় মাছের বংশ ধ্বংস হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনকে সচেতন হতে হবে বলেও তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে