বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

সিদ্ধিরগঞ্জে বন্ধকি জমি কিনে বিপাকে ক্রেতা জহুরা জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
সিদ্ধিরগঞ্জে বন্ধকি জমি কিনে বিপাকে ক্রেতা জহুরা জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল মৌজায় সাড়ে ৪ শতাংশ জমি ইউনুছের কাছ থেকে ক্রয় করেন জহুরা রানী। ক্রয়ের ১০ বছর পর জহুরা রানী জানতে পারেন তার এই জমি একটি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন ইউনুছ আলী। জমি না পাওয়ার দুঃশচিন্তায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন তিনি।

জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকার মৃত মো. আলাউদ্দিনের মেয়ে ও মৃত মনিরুজ্জামানের স্ত্রী জহুরা রানী শিমরাইল মৌজাস্থিত সাড়ে ৪ শতাংশ নাল জমি সাফ কবলা তিনটি দলিলে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহলস্নার এলাকার মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে ইউনুছ আলীর কাছে কেনেন। ক্রয়ের পর থেকে নিজ নামে নামজারী করে সরকারী খাজনাদী পরিশোধ করে জহুরা রানী জমিতে ভোগদখলকার আছেন। গত বছর ডিসেম্বর মাসে অগ্রনী ব্যাংক থেকে এ জমি ছাড়ার নোটিশ দিলে জহুরা রানী জানতে পারেন জমিটি ব্যাংকে বন্ধক রয়েছে। এ জমি বিক্রয়ের পূর্বেই গত ২১ মে ২০০৯ তারিখে ইউনুছ আলী ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন। ইউনুছ আলী ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার সময় ব্যাংকের বরাবর বন্ধকী দলিল যার নং- ৩৫৪১ এবং পাওয়ার অব এ্যাটর্নী দলিল যার নং- ৩৫৪২ নং সম্পাদন করে দেন। এ খবর শুনে জহুরা রানী হতবাক হয়ে যান। এক পর্যায়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।

জহুরা রানী জানান, জমিটি ক্রয়ের সময় ইউনুছ আলী মূল দলিল দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে ইউনুছ আলী নারায়নগঞ্জ সদর রেকর্ড রুমে তলস্নাশী করে একটি দায়মুক্ত সদন দেন যার তলস্নাশী রশিদ নং- ১৫৯২৫২, তারিখ- ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ইং যেখানে উক্ত জমি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ নাই লেখা রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় দৈনিকে উক্ত জমির অন্য কোন দাবিদার আছে কিনা তা জানতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও কোন দাবিদার পাওয়া যায়নি। এরপর ইউনুছ আলী জমির মূল দলিল হারিয়েছে মর্মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন যার নং- ১৫১০, তাং- ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ইং। প্রতারক ইউনুছ সবকিছু গোপন রেখে কৌশলে এসব কাজ সম্পাদন করে জমিটি তার কাছে বিক্রি করেন যা তিনি বুঝতে পারেননি।

জহুরা রানী এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল আদালতে সি. আর মামলা (নং- ৩৩০/২৪) করেন। মামলাটি বর্তমানে পিবিআইএ তদন্তে রয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি সত্য। দ্রম্নতই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে