পূর্বঘোষিত ২২ দফা দাবি বাস্তবায়নে সড়কে 'অনড় কর্মসূচি' পালনের পর এবার উন্মুক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বুধবার এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন তারা।

এতে তারা বলেন, গত ছয়দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে চলমান যৌক্তিক আন্দোলনে প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা তাদের স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। তারা এর মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন শিক্ষার্থীদের সামনে আসার নৈতিক সৎসাহস হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন।

শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রহসনের মিথ্যা মামলা এখনও পর্যন্ত প্রত্যাহার না করে স্পষ্ট প্রমান করেছেন এরা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী না। একের পর এক অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের ভিতরে যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে সেটার জন্য আগামী দিনে যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে এর দ্বায়ভার সম্পূর্ণ প্রশাসনকে নিতে হবে। প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়েও উনি দায়িত্বে অবহেলা করে যাচ্ছেন। এ জন্য একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি তার দায়িত্বে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, 'আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন স্বৈরতন্ত্র চলবে না। আমাদের অধিকারের ব্যাপারে আমরা আপোষহীন। শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি ক্লাসরুম, আবাসন, পরিবহন সংকট সমাধানসহ ২২ দফা অতিদ্রম্নত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন সিদ্ধান্তে লুকোচুরি করা যাবে না। আমাদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া দায়িত্বে কেউ অবহেলা করলে অথবা স্বৈরাচার হওয়া মনোবাসনা জাগলে আমরা সচেতন শিক্ষার্থীরা আপনাদের দাঁতভাঙা জবাবম দেব। হামলা, মামলার মতো স্বৈরাচারী কাজকারবার পরিহার করে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন হওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।'

সেচ সংকটে তাহিরপুরের ২৩ হাওড়ের ইরি বোরো ফসল

সবশেষ, উপাচার্যের দায়ের করা যড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে সড়ক অবরোধসহ কঠিন কর্মসূচি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ জানান, 'আমরা বুধবার দাবি আদায়ে জনমত বাড়াতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এছাড়া দাবি পুরনের লক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনারে কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। দাবি আদায় না হলে বৃহস্পতিবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।'