বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

নীলফামারীতে ১০ গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো

এসএ প্রিন্স, নীলফামারী
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
নীলফামারীতে ১০ গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো
নীলফামারীতে ১০ গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো

নীলফামারীতে ১০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। অথচ একটি ব্রীজ হলে পাল্টে যেতে পারে গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থা। নীলফামারী সদর উপজেলা লক্ষীচাপ ইউনিয়নের বসুনিয়ার ডাঙ্গার দেওনাই নদীর ওপরে বাঁশের সাঁকোটির অবস্থান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাঁকো দিয়ে পাড় হয়ে প্রতিদিন নীলফামারী শহরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় যাতায়াত করেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। বাঁশদাহ, লক্ষীচাপ, শিমুলবাড়ী, ধর্মপাল দুবাছুরি, দাঁড়িহারা, বালার পোকর, খেরকাটি, অচিনতলা, শেওটগাড়ী গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ৪০ বছর থেকে অনেক কষ্ট করে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন। সাঁকোর রাস্তাটি লক্ষীচাপ ইউনিয়ন থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কের সাথে সংযোগ হয়েছে। অনেক সময় ব্যবসায়ীদের মালামাল পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকোটি বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায়। সাঁকো ভেঙ্গে মাঝে মধ্যে অনেক লোকজন নদীতে পড়ে যান এবং আহত হন। তার পরেও দুরদুরান্ত থেকে আসা এবং ওই এলাকার মানুষ অনেক কষ্ঠে চলাফেরা করছে। একটি ব্রিজের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি।

লক্ষীচাপ কাঁচারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক কমর উদ্দিন বলেন, ১০ গ্রামের বাঁশের সাঁকোটি একমাত্র চলাচলের ভরসা। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। অনেকে মাঝে মধ্যে সাঁকো থেকে পরে গিয়ে আহত হয়েছেন। স্থানীয় ব্যক্তি দিলীপ রায় বলেন, এই বাঁশের সাঁকোটি মানুষের বিপদজনক হয়ে রয়েছে। প্রতিদিন সাঁকোটি দিয়ে হাজার হাজার লোক যাতায়াত করেন। এখানে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রীজ হলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জীবন মান পাল্টে যাবে। লক্ষীচাপ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারুল রানী বলেন, আমরা এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসি। অনেক সময় বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে নদীতে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। বর্ষার সময় কলার ভেলায় আসতে হয় স্কুলে। অনেক সময় বই খাতা ও কাপড় ভিজে যায়।

লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, এই সাঁকোটি মানুষের জন্য একটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অনেক মানুষের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দেওনাই নদীর ওপরে একটি ব্রীজ হলে হাজার হাজার মানুষের যাতাযাতের সুবিধার পাশাপাশি ১০ গ্রামের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হতো।

এ বিষয়ে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, 'আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে