একদিকে লবণের মূল্যে ধস, অন্যদিকে দাদন ব্যবসায়ীদের টাকা শোধ করার জন্য লবণ উৎপাদনে যুদ্ধ নেমেছে প্রান্তিক চাষিরা। এ অবস্থায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল এলাকায় অসহায় ১০ বর্গাচাষির লবণ মাঠের পলিথিন কেটে ফুটো করে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এতে লবণ চাষিদের ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী লবণ চাষি আবদুল মালেক।

রোববার ভোর রাতে উপজেলার সরল ইউপির ১নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর সরল বঙ্গোপসাগর উপূকলীয় তাজুর ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা হলেন- মো. আব্দুল মালেক, সুলতান, মো. আজিম, মো. আশিক, ছবুর, মো, আনিছ, মো. দেলোয়ার, জাফর ও মোস্তাক। ভুক্তভোগী লবণ চাষি আবদুল মালেক বাদী হয়ে স্থানীয় ৩০ জনকে আসামি করে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। এদিকে ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশের একটি টিম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, 'পবিত্র শবে বরাতের নামাজের জন্য লবণচাষিরা নিজ নিজ গ্রামে চলে যান। এ সুযোগে স্থানীয় কিছু বখাটে ও সন্ত্রাসী ৩০০ মণ লুট করে। একইসঙ্গে লবণ লুট করে যাওয়ার সময় দলবল নিয়ে চাষিদের ৬০ একর লবণ মাঠের ১৫ লাখ টাকার পলিথিন এবং ফুটন্ত লবণ নষ্ট করে ফেলে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লবণ চাষিরা প্রতিহত করতে চাইলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

ভুক্তভোগী লবণ চাষি আবদুল মালেক বলেন, 'পবিত্র শবে বরাতের কারণে চাষিরা নিজ গ্রামে নামাজ পড়তে যান। এই সুযোগে রাতের আঁধারে আমাদের লবণ মাঠে বিছানো পলিথিন কেটে দিয়ে লবণ উৎপাদন ব্যাহত করেছে তারা। ৬০ একর লবণ মাঠের পলিথিন কেটে অর্ধ ফুটন্ত লবণ নষ্ট করে ফেলেছে। সঙ্গে ৩০০ মণের বেশি লবণও নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এতে আমাদের ১৫-১৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা বাঁশখালী কোর্টে মামলা দায়ের করেছি।'

সেচ সংকটে তাহিরপুরের ২৩ হাওড়ের ইরি বোরো ফসল

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, 'ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।