আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকায় অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দখলদাররা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
এদিকে প্রকাশ্যে সরকারি জায়গা বেদখল হতে থাকলেও অদৃশ্য কারণে প্রশাসনের নীরবতা স্থানীয় লোকদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার কাকাইলছেও রোডে নিউ মেডিল্যাব হাসপাতালের পেছনে সরকারি জায়গায় অন্তত ৫০টি পাকা, আঁধাপকা ও বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। একই রোডে রামকৃষ্ণ মিশন সংলগ্ন শানবাড়ি সমিতির নামে ৮-১০টি বহুতল ভবন সরকারি জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। আরও কয়েকটি পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
এ ছাড়া লঞ্চ টার্মিনাল রোডে ১নং খতিয়ানের ৩৪নং দাগের ভূমিতে স্থানীয় একব্যক্তি বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করলে গত জুন মাসে উপজেলা ভূমি অফিসের লোকজন গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। তারা কয়েকবার পরিদর্শন করে ভূমির সীমানাও নির্ধারণ করেন। একই দাগে সুনামগঞ্জের শ্রীহাল গ্রামের মো. ইসমাইল মিয়া বহুতল ভবন নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।
যোগাযোগ করা হলে ইসমাইল মিয়া জানান, প্রায় ৭ বছর আগে তিনি ২৮ শতক জমি ক্রয় করেছিলেন। সেটি সরকারি ভূমি কিনা তা তিনি সঠিক করে বলতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারি কর্মকর্তা (তহশিলদার) আবুল কালাম চৌধুরী সার্ভেয়ার মীর মোহাম্মদ শাহীনের বরাত দিয়ে বলেন, ওই ভূমি সরকারি খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। তবে সরকারি ভূমিতে কিভাবে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
স্থানীয়রা জানান, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার কোটি টাকা মূল্যের সরকারি খাস জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। মাঝেমধ্যে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও তা ফলপ্রসু হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কথা বলতে আজমিরীগঞ্জ ইউএনও নিবিড় রঞ্জন তালুকদারের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।