মৌসুমের শেষ দিকে বৃহত্তর খুলনার হাটে বাজারে কাঁচা পাটের তেজিভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বেসরকারি পাটকলগুলোর চাহিদা, পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটের দাম বেড়েছে। গেল বছরের চেয়ে এবার মণ প্রতি তোষা জাতের পাট ৭শ' টাকা করে বেড়েছে। মৌসুম শেষ হওয়ায় কৃষকের ঘরে কাচাঁ পাটের মজুদ কমেছে। দক্ষিণ জনপদে বেশি ফলোনের আশায় বিজেআরআই- ৯ জাতের আবাদের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই অঞ্চলে মূলত তোষা জাতের পাটের আবাদ হয়। খুলনার পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বাগেরহাটের মোলস্নাহাট, চিতলমারী, সাতক্ষীরা উপজেলা সদর, তালা, কলরোয়া উপজেলায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়। মাদারীপুর ও ফরিদপুরের সাদা ও মেছতা জাতের পাট, বাগেরহাটের মোলস্নাহাট ও চিতলমারী হাটের চাহিদা পুরুন করে। পাশাপাশি খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা, খোদ্দ্ে, ঝাউডাংগা, বাগেরহাট জেলার চিতলমারী ও মোলস্নাহাট হাটে তোষা জাতের পাট মৌসুমের শুরু থেকে বিক্রি হচ্ছে।
গত ১ জুলাই থেকে পাট মৌসুম শুরু হয়। ২০২৪ সালে এসব হাটে প্রতি মণ তোষা জাতের পাট ২৩শ' থেকে ২৪শ' টাকা দরে বিক্রি হয়। গত সপ্তাহে উলিস্নখিত জাতের পাট মণ প্রতি ৩২শ' থেকে ৩৪শ' টাকা ধরে বিক্রি হয়।
পাট অধিদপ্তর, খুলনার সহকারী পরিচালক সরজিৎ সরকার জানান, পলিথিন বন্ধ হওয়ার পর পাটের ব্যবহার বেড়েছে। এ কারণেই পাটের তেজিভাব। গত সেপ্টেম্বরে তোষা জাতের পাট মণ প্রতি ৩৫শ' টাকা দরে বিক্রি হয়। বেসরকারি পাটকলগুলোতে কাঁচা পাটের চাহিদা বেড়েছে।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা বাসুদেব হালদার জানান, ২০২৬ সাল থেকে এ অঞ্চলে বিজেআরআই- ৯ উন্নত জাতের পাটের আবাদ করা হবে। এখন তোষা জাতের পাট হেক্টর প্রতি ৬৫ মণ উৎপাদন হয়। নতুন জাতের পাট হেক্টর প্রতি ৮০ মণ উৎপাদন হবে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্ন ও নারী কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পারভীন আক্তার স্বপ্না জানান, পরিবেশ দূষিত হওয়ার কারনে পলিথিনের ব্যাবহার বন্ধ করেছে সরকার। সে কারনে পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা বাড়ায় কাঁচা পাটের কদর বেড়েছে। এ কারণেই মুল্য বেড়েছে হাটে বাজারে। আগামী মাসে পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
উলেস্নখ্য, আগামী এপ্রিল থেকে পাটের নতুন মৌসুমের আবাদ শুরু হবে। ডুমুরিয়ার এক হাজার কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হবে বলে পাট অধিদপ্তর জানিয়েছে।