দেশের প্রথম কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সম্মেলন শেষ করার ঘোষণা দেন সম্মেলনের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল।
এর আগে গত বুধবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উলস্নাহ মিয়ান সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি অ্যান্ড বায়ো রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসএএমবিই) এবং বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ যৌথভাবে ওই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তরের পাশাপাশি লাভজনক কৃষি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ।
ড. মোহাম্মদ এমদাদ উলস্নাহ মিয়ান বলেন, উৎপাদন প্রযুক্তির উন্নয়ন ও যান্ত্রিকীকরণ খরচ কমিয়ে কৃষকদের লাভজনকতা নিশ্চিত করবে। কৃষি মন্ত্রণালয় চতুর্থ শিল্প বিপস্নবের প্রযুক্তি গ্রহণ ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা বাস্তবায়নে কাজ করছে। স্মার্ট কৃষি, বিকল্প জ্বালানি ও ফসল পরবর্তী প্রযুক্তির প্রসারে গবেষণা ও শিল্পখাতের সংযোগ নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব অপরিহার্য। আমি আশ্বস্ত করছি, সম্মেলনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে একটি কৃষি যন্ত্রপাতি মেলারও আয়োজন করা হয়েছে যেখানে দেশের স্বনামধন্য আটটি প্রতিষ্ঠান (সরকারি ও বেসরকারি) তাদের কৃষিবিষয়ক যন্ত্রপাতি ও আধুনিক প্রযুক্তিগুলো প্রদর্শন করেছে।
মেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রদর্শনীর জন্য ড্রোন মেশিন, ট্রাক্টর, নারিকেলের ছোবড়া ছাড়ানোর যন্ত্র, পাওয়ার উইডার, কফি পাল্পার, কম্পোস্ট সেপারেটর, মূল জাতীয় সবজি ধৌতকরণ যন্ত্র, ফল শোধন যন্ত্র, নিউ হল্যান্ড ট্রাক্টর, মিনি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও সিডারসহ নানা ধরনের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।
এবার মেলা উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, এসিআই মোটরস লিমিটেড, বাংলামার্ক এগ্রো মেশিনারিজ, এস কিউ এগ্রিকালচার লিমিটেড, কৃষিবিদ ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্টল দিয়েছে।