ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফল ব্যবসায়ী সাইদুর হত্যা মামলায় তিনজনের মৃতু্যদন্ড

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে চাঞ্চল্যকর ফল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনের মৃতু্যদন্ডাদেশ প্রদান করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১ম আদালত) আয়েশা আক্তার সুমি এই আদেশ প্রদান করেন। এছাড়াও আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। মৃতু্যদন্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চর-শিবপুর গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া-(৪৯), একই উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে রিপন মিয়া (৩২) ও নজরুল ইসলামের ছেলে রাসেল মিয়া- (৩০)। রায় ঘোষণার সময় রিপন মিয়া ও কাজল মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাসেল মিয়া পলাতক রয়েছেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরন ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর লঞ্চঘাট এলাকার মেঘনা নদী থেকে ফল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর একদিন আগে তিনি নিখোঁজ হন। সাইদুর রহমান উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি উপজেলার করইকান্দি ফেরিঘাট এলাকায় ফলের ব্যবসা করতেন। এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি লোকমান মিয়া বাদি হয়ে একই বছরের ১ অক্টোবর রাসেল মিয়াকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর দুই আসামি রিপন মিয়া ও কাজল মিয়ার সম্পৃক্ততা পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে বাঞ্ছারামপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলার তদন্তকারী অফিসার সালাউদ্দিন চৌধুরী মামলাটি তদন্ত করে আসামি রাসেল মিয়া, রিপন মিয়া ও কাজল মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী রাসেল মিয়া ও কাজল মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আসামিরা আদালতকে জানান, পাওনা ২০ হাজার টাকা না পেয়ে ক্ষুব্দ হয়ে সাইদুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেন তারা। এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আওলাদ হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ মিয়া বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতে সমাজে এ ধরনের খুন খারাপি বন্ধে এ রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।