ফলের জগতে কমলা আর কমলার মধ্যে মাল্টার তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সেই মাল্টা এখন আটঘরিয়ার মাটিতে ব্যাপকভাবে চাষ শুরু হয়েছে। এ উপজেলায় দেবোত্তর ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ রতন মিয়া চার বছর যাব ৪ বিঘা জমিতে মালটা গাছ লাগিয়ে সফলতার মুখ দেখছেন। বর্তমানে তার বাগান থেকে ১০ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর বাজার থেকে চাটমোহরমুখী সড়কের জালালের ঢাল নামক স্থান থেকে সোজা পূর্ব দিক মতিঝিল বাজার গেলেই রতন মিয়ার মাল্টা বাগানের সন্ধান পাওয়া যাবে। রতন মিয়া জানান, নিজের চিন্তা ভাবনা থেকে তিনি বিগত চার বছর আগে মাল্টা চাষ শুরু করের। মালটা গাছে এখন মাল্টা ফল ও ফুলে পরিপূর্ণ। রতন মিয়া আরো জানায়, এই এলাকার মাটি দোয়াশ হওয়ায় মাল্টা চাষের উপযোগী, দ্রম্নত বেড়ে ওঠে এবং ফল দেয় ভালো। তার প্রতিটি গাছে মাল্টার ফুল ও ফল শেভা পাচ্ছে। বিগত চার বছরে তার প্রায় আড়াই লাখ টাকা খরচ হয়েছে বাগানের পরিচর্যা, সার ও সেচ দেওয়ার জন্য। সারি সারি গাছ লাগানো হয়েছে, দুই সারির মাঝে দিয়ে বৃষ্টির পানির জলবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেন তৈরি করা হয়েছে। রতন মিয়ার মাল্টা বাগানে বর্তমানে ফুল ও ফলে পরিপূর্ণ। এই মালটা খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু। তিনি বলেন, মাল্টা বাজারজাত করণে কোন সমস্যা নেই, প্রচুর চাহিদা থাকায় বাইরে থেকে পাইকারার সরাসরি বাগান থেকে কিনে নিয়ে যায়। প্রচুর পুষ্টিসমৃদ্ধ এই মাল্টা বাজারে প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়। তার ধারণা এই মালটা বিক্রি করে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঘরে আসবে। মাল্টা বাগানের মালিক রতন মিয়া জানান, যে পরিমাণ মালটা ধরেছে এবং ফুল এসেছে তাদের প্রচুর লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি, এ কারণে আগামীতে মাল্টা বাগান সম্প্রসারণের চিন্তাভাবনা আছে। এছাড়াও রতন মিয়ার মাল্টা চাষ দেখে আশেপাশের অনেকেই মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।