জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার শহীদ স্মৃতি এ.বি.এস উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অবসর গ্রহণের পূর্বে এসএমসি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমানের যোগসাজশে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভুয়া ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, জানুয়ারি ২০২৪ বিল কপির সমস্ত কাগজপত্রের শেষের লাইনে অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমানের হাতের লেখায় নিরাপত্তাকর্মী জুবায়দুর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিষয়টি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) আমিনুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হলে এমপিও কপি উত্তোলন করে জানতে পারেন বিগত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে সরকারি বিধি মোতাবেক অবসর গ্রহণ করা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিউদ্দিন ও অফিস সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান নিরাপত্তা কর্মী জুবায়দুর রহমানকে কখন কিভাবে নিয়োগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক কর্মচারী জানেন না। অথচ যোগদান দেখানো হয় ২১ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে। বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় জুবাইদুর রহমান নামে কোন নিরাপত্তা কর্মীর উপস্থিতি স্বাক্ষর নাই।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশনে মাধ্যমে ভুয়া নিরাপত্তা কর্মীর বেতন ভাতাদি সর্বসম্মতিক্রমে স্থগিতসহ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিউদ্দিনকে আইনের আওতায় এনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরে আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে শহীদ স্মৃতি এ.বি.এস উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিউদ্দিন, অফিস সহকারি মোস্তাফিজুর রহমান ও জুবাইদুর রহমানের নামে সহকারী জজ আদালত ইসলামপুর জামালপুর মোকাদ্দমা নং সিআর ০৮ (১) ২০২৫ মামলা দায়ের করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, 'বিদ্যালয়ের বিষয়টি আমার অবগত। যদি স্বাক্ষর জাল করে থাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিউদ্দিন বলেন, 'আমি স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছি এবং সকল কিছু তাদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। এখন আমার বিরুদ্ধে যা বলছে সব মিথ্যা, বানোয়াট।'
নিরাপত্তা কর্মী জুবায়দুর রহমান বলেন, 'সরকারি বিধি মোতাবেক কমিটির উপস্থিতিতে বৈধভাবে নিয়োগ হয়েছে।'