কীটনাশকেও কাজ হচ্ছে না সবরী কলার ঘাটতির শঙ্কা
আটঘরিয়ায় সংক্রামক পানামা রোগে উজার হচ্ছে কলাবাগান
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পানামা নামের ছত্রাক সংক্রামক রোগে আটঘরিয়াসহ আশেপাশের এলাকার কলাবাগানের সবরী কলা গাছ লাল ও হলুদ বর্ণ হয়ে মারা যাচ্ছে। এতে শত শত ধরন্ত কলা গাছ কেটে ফেলতে হচ্ছে। ফলে সবরী কলার দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আটঘরিয়া উপজেলা ধলেশ্বর গ্রামের আক্তার হোসেনের প্রায় ২ হাজার কলাগাছের ২৫০ গাছ এই পানামা রোগে আক্রান্ত হলে ইতিমধ্যে কেটে ফেলতে হয়েছে। তিনি জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শে কীটনাশক ও সার ব্যবহার করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা গেছে, এই পানামা রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে কলা গাছের পাতা, ডগা হলুদ ও লাল হয়ে ভিতর থেকে পচন ধরে কলা গাছ ফেটে যায় এবং গাছ শুকিয়ে মারা যায়। যে বাগানে বা যে গাছে এই পানামা আক্রান্ত হয় আস্তে আস্তে তার আশেপাশের অন্যান্য কলা গাছও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রায় সব এলাকার কলা গাছে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ৃখামার কোদায়ালিয়া নিয়ে গ্রামের কলা চাষি আব্দুল বারেক জানান, এই রোগে আক্রান্ত হলে একমাত্র নিরাময় হলো ওই গাছ শিকড়সহ উপড়ে তুলে ফেলা, এভাবেই তার বগানের এক-চতুর্থাংশ কলা গাছ তুলে ফেলতে হয়েছে এবং আরও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ধলেশ্বর গ্রামের ভুক্তভোগী আখতার আরও জানান, এই রোগরসংক্রামক রোগ এ কারণে তার বাগান থেকে ধরন্ত যে ২৫০ কলা গাছ তুলে ফেলা হয়েছে তা থেকে তার কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
শ্রীকান্তপুর গ্রামের ফজলুর রহমান জানায়, এই রোগে আক্রান্ত কলা গাছ কাটতে কাটতে তার কলাবাগান উজার হতে চলেছে, বাগান করে এবার চরম ক্ষতি সম্মুখীন হতে হচ্ছে, আগামীতে কলার চাষ করবো কিনা সন্দেহ আছে।
ধারণা করা হচ্ছে, যেভাবেএ বছর পানামা রোগে কলাবাগান উজার হচ্ছে তাতে দুষ্প্রাপ্যতার কারণে সবরী কলার সংকট দেখা দিতে পারে।
এ ব্যাপারে কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হলেও কাজে আসছে না কোন পরামর্শ। তাদের ধারণা আবহাওয়াগত কারণেই এমনটা হচ্ছে।