কুমিলস্নায় হেফাজতে যুবদল নেতার মৃতু্যর ঘটনা
বেসামরিক আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতিসহ সুষ্ঠু তদন্তের দাবি
প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
কুমিলস্নায় যৌথবাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃতু্যর ঘটনায় বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা 'হয়রানীমূলক' মামলা থেকে ৪ জনকে অব্যাহতিসহ সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে আসামিদের পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার নগরীর টমছমব্রীজ এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। এ সময় মামলার ৬ জন আসামির মধ্যে ৪জন আসামির বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দুই পাতার লিখিত বক্তব্যে মামলার আসামিদের পরিবারের পক্ষে মোক্তল হোসেন বলেন, তৌহিদুলের পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের কথা উলেস্নখ করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার নিরপরাধ ৩ সন্তানকে (৩নং আসামি নাজমুল হাসান টিটু, ৪নং আসামি খায়রুল হাসান মাহফুজ ও ৫নং আসামি সাইদুল হাসান সবুজ) আসামি করা হয়েছে। মামলায় উলেস্নখ করা হয়েছে- গত ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে যৌথবাহিনীর পরিচয়ে সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পরিহিত ও সিভিল পোশাকধারী লোকজন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের নামে অভিযান পরিচালনা করে ও ঘরে তলস্নাশীর পর অস্ত্র না পেয়ে তৌহিদুল ইসলাম ও লুৎফর রহমানকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে তারা উক্ত ২ জনকে আহত অবস্থায় গাড়িতে করে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় তার বাড়িতে গিয়ে ঘরগুলোতে তলস্নাশী করে। কিন্তু ঘরে কিছু না পেলেও লুৎফর রহমানকে ছেড়ে দিয়ে তৌহিদুল ইসলামকে পুনরায় গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ এলাকায় অচেতন অবস্থায় তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে চিকিৎসার জন্য কুমিলস্না মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেয়ে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত তৌহিদুল ইসলামের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য জখমের দাগ পাওয়া যায়। এ ঘটনার ৫দিন পর কোতোয়ালি মডেল থানায় করা মামলায় তার (মোক্তল হোসেন) ৩ ছেলে ও ফজলুর রহমানের এক ছেলেকে ২ থেকে ৫নং আসামি করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে আরও উলেস্নখ করা হয়, তৌহিদুলের মৃতু্যর পরদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উক্ত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার এবং ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক বলে উলেস্নখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের বেসামরিক সন্তানদের নির্দোষ দাবি করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাদের নিরপরাধ সন্তান ও পরিবারকে হয়রানীর হাত হতে মুক্তির জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোক্তল হোসেনের স্ত্রী পেয়ারা বেগম, ২নং আসামি তানজিল উদ্দিনের বাবা ফজলুর রহমান ও মা মরিয়ম বেগম।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াছমিন নাহারের লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে।