কয়রার সহকারী শিক্ষা অফিসার মিঠুর দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় দাকোপে বদলী
প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসলামুল হক মিঠুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম ও শিক্ষকদের হয়রানির বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমানিত হওয়ায় দাকোপে বদলী করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ইসলামুল হক মিঠুর দুর্নীতি,অনিয়ম ও শিক্ষদের হয়রানীর বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সাতহালিয়া গ্রামের আব্দুল করিম সানার ছেলে এম আইউব।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিদুল আলম সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জামাল হোসেন কে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি গত ৫ নভেম্বর তদন্ত সম্পন্ন করেন। ৯টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি প্রমানিত হওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করেন তদন্ত কমিটি।
কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জেলা শিক্ষা অফিসার মিঠুর বিরুদ্ধে শিক্ষা অধিদপ্তরে বিভাগীয় শাস্তির জন্য সুপারিশ করেন।
পরবর্তীতে শিক্ষা অধিদপ্তর সহকারী শিক্ষা অফিসার ইসলামুল হক মিঠুকে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় বদলী করেছেন।
জানা গেছে, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসলামুল হক মিঠু কয়রায় দ্বিতীয় বার যোগদান করার পর অপেশাদার আচরণ, শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি, দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
তার দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা মিঠুর পক্ষ নিয়ে তাকে বাঁচাতে এলাকা হতে কিছু শিক্ষদের ডেকে এনে সু-কৌশলে সাক্ষর নিয়ে মিঠু দুধদিয়ে ধোয়া তুলসী পাতা সেটা প্রমান করতে চেয়েছিলেন। তাতেও শেষ রক্ষা হলো না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক ও ভুক্তভোগীরা জানান, শিক্ষা অফিসের আয়ের হাতিয়ার ছিলেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মিঠু।
তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে স্স্নিল ও মেরামত বাবদ বরাদ্ধ থেকে কমিশন নিয়ে শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্মকর্তাকে দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে জন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহন করে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষকরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।