রাজস্থলীতে বন্য হাতির উৎপাত আতঙ্কে নির্ঘুম গ্রামবাসী

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

রাজস্থলী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির রাজস্থলীতে বন্যহাতি তাড়ানোর জন্য গ্রামের পাশে পাহাড়ে আগুন জ্বালানো হচ্ছে -যাযাদি
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার দুই নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নের ওগাড়ী পাড়া চিতাখোলা এলাকায় হঠাৎ করে বন্যাহাতির উৎপাত দেখা দিয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। গত কয়েকদিন আগে কাপ্তাই হরিনছড়া হতে বন্য হাতির দল চিৎমরম এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। এসব হাতি রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন পাড়ায় নেমে তান্ডব শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পাহাড়ে বসবাসকারী লোকজন। তারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে আড়াছড়ি সীমান্তে রাজস্থলীর অংশে একদল বন্যহাতি উৎপাত শুরু করে। এতে পাহাড়ে থাকা ক্ষুদ্র- নৃ গোষ্ঠিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসী জানান, গত রোববার সন্ধ্যা হতে এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে। যে কোন সময় উপজেলার গামাড়ী বাগান, পৌয়তু পাড়া, লংদু পাড়া কংসকই পাড়ায় নেমে তান্ডব শুরু করতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা প্রকাশ করেছেন।ওগাড়ী পাড়া গ্রামবাসী এসব হাতির তান্ডব দেখেছেন বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। ওগাড়ী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মংহ্লাচিং মারমা বলেন, সন্ধ্যা থেকে বন্যহাতির দল পাড়ায় হানা দিচ্ছে, আমরা ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেছি। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, পাড়াবাসীরা বন্য হাতির আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, রাজস্থলীতে হাতির তান্ডবের বিষয়ে শুনছি। এরপরও গ্রামবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে এবং রাতে হাতে মশাল নিয়ে গ্রম্নপ করে গ্রামের লোকজনকে পাহারা দিতে হবে। আমি বন বিভাগকে বিষয়টি অবগত করার চেষ্টা করছি যাতে বন বিভাগ বিষয়টি দেখে। হাতি যে রাস্তা দিয়ে যাবে তাকে বাধা দেওয়া যাবে না। বাধা দিলে সে তান্ডব চালাতে পারে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। রাজভিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা ফিরোজ আল আমিন বলেন, হাতিকে উত্তেজিত করা যাবে না। সুতরাং রাতে মশাল বা ঢাকডোল পিটিয়ে তাদের তাড়াতে হবে। হাতি যে রাস্তা দিয়ে যাবে তাকে বাধা দেওয়া যাবে না। সবাই সতর্ক থাকবেন নিরাপদে থাকবেন। হাতি তাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লোকবল সংকট ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।