পাবিপ্রবিতে নিয়মবর্হিভূত নিয়োগ শুদ্ধি অভিযানে নয়া ভিসি!
১৮৬ জন শিক্ষকের ৪২ জন বিদেশে ১২ জনের মেয়াদ শেষম আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, পাবনা ১৬ বছরে নানা অনিয়মের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)। অনৈতিক লেনদেন, দলীয়করণ, দলীয় বিবেচনায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতিতে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র-জনতা অভু্যত্থানের পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর নয়া ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল যোগদানের পর প্রতিষ্ঠানটিতে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন। নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, প্রভাববিস্তারকারীদের সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক পদক্ষেপ গ্রহণের পথে হাটছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে নয়া ভিসি অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। তন্মধ্যে ৪২ জন শিক্ষকই উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে ১০-১২ জনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন কাজে যোগদানের জন্য। বিধি মোতাবেক তাদের সাড়া না মিললে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাবিপ্রবিতে নিয়োগের বিধিমালা অনুসরণ না করে নিয়োগ প্রাপ্তদের জাল সার্টিফিকেট, সার্টিফিকেটে সমস্যা, অভিজ্ঞতা ছাড়া, বয়স চলে যাওয়াসহ নানা অসঙ্গতি ছিল। এরপরেও রাজনৈতিক বিবেচনায় ও অনৈতিক সুবিধা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন এবং পদোন্নতি নিয়েছেন। বিগত সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব পদে রাজনৈতিক বিবেচনাসহ নিয়োগে ৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক লেনদেন করে নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতায় ঘাটতি থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ায় শিক্ষার গুণগত মান অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় ইচ্ছা অনুযায়ী নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণ করে এসব নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগ বোর্ডে উপাচার্য বা উপ-উপাচার্যের পছন্দের বিশেষজ্ঞ নেওয়া হয়েছে। নিয়োগে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও শিক্ষক, ছাত্রনেতা ও স্থানীয় নেতা উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। তিনি উপ-রেজিস্ট্রার পদে বয়স ও মাস্টার্স সার্টিফিকেটে সমস্যাসহ অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ পান। ড. মো. মুশফিকুর রহমান, অধ্যাপক ব্যবসায় প্রশাসন ও ড. মো. হাবিবুলস্নাহ, অধ্যাপক বাংলা বিভাগ তাদের শিক্ষা জীবনে কোন প্রথম শ্রেণি নেই। ড. মো. আব্দুল আলিম, অধ্যাপক বাংলা বিভাগ, তিনি এসএসসিতে বিশেষ বিবেচনায় পাশ করেন। তিনি কখনও আওয়ামী লীগের অনুসারী, কখনও জামায়াতের অনুসারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর। ড. আওয়াল কবির জয়, সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স পাশ করেন। তিনি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ প্রশাসনকে কোনঠাসা করে রেখেছিলেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। ড. আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ব্যবসায় প্রশাসন, তরুন দেব নাথ, সহকারী অধ্যাপক, আইসিই বিভাগ, এস.এম. হাসান সাজ্জাদ ইকবাল, সহযোগী অধ্যাপক, ইটিই বিভাগ ও ড. দিলীপ কুমার সরকার, অধ্যাপক ইইই বিভাগ তারা (সার্কুলারের) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়ম নীতির বাইরে নিয়োগ পান। ড. মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ব্যবসায় প্রশাসন, পিএইচডি জালিয়াতি করে পদোন্নতি পেয়েছেন। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কামরুল হাসান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, সহ-রেজিস্ট্রার নিয়োগে অভিজ্ঞতা ঘাটতি ও আপগ্রেডের সময় অবৈধ রেয়াতী সুবিধা গ্রহন করে কর্মরত আছেন। শাহান শাহ (মিলন), অতিরিক্ত পরিচালক, উপ-পরিচালক পদে নিয়োগ পান কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া। জিএম শামসাদ ফখরুল, অতিরিক্ত পরিচালক, গ্রাজুয়েশন ও মাস্টার্সের সার্টিফিকেট ভারতের এই সার্টিফিকেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরুপ সমালোচনা চাউর আছে। তাওহিদা খানম, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, তিনি নিয়োগ পান কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া। হাফিজুর রহমান মোলস্না, অতিরিক্ত লাইব্রেরিয়ান, সহ লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ পেয়েছেন অভিজ্ঞতা ছাড়া। আরও অনেকের বিরুদ্ধে এধরনের নিয়মবহির্ভুত নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া যায়। পাবনার সচেতন নাগরিক পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার বলেন, পাবিপ্রবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তদবিরের শীর্ষে চলে যায়। রাজনৈতিক নেতাদের খামখেয়ালিপনায় অযোগ্য, অদক্ষ, অনভিজ্ঞদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুর্বল জনবল কাঠামো ও দুর্নীতি পরায়ন প্রশাসনের কারণে ক্রমাগতভাবে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম হ্রাস পাওয়াসহ কার্যতঃ অথর্ব্য প্রতিষ্ঠানে রূপ পেয়েছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল সার্বিক বিষয়ে বলেন, 'আমি যোগদানের পর নিজে আবিস্কার করতে পারিনি এটা আদৌত বিশ্ববিদ্যালয় কিনা। যেখানে হাত দিয়েছি, যেখানে খোঁজ নিয়েছে প্রতিটা জায়গায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়মবর্হিভূত সিস্টেমে ভরপুর ছিল। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে যে নিয়মকানুন থাকতে হয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ বিধি থাকতে হয়। প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নানা দিকনির্দেশনা থাকতে হয়। কোনটাই ছিল না। এই চেয়ারে আমার আগে যারা এসেছেন, তাদের ফায়দা হাসিল করে চলে গেছেন। অনিয়মগুলো অনুসন্ধান করছি। শুদ্ধ অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই এ প্রতিষ্ঠানটি একটা কাঠামোগত অবস্থায় ফিরবে।'
প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, পাবনা
১৬ বছরে নানা অনিয়মের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি)। অনৈতিক লেনদেন, দলীয়করণ, দলীয় বিবেচনায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতিতে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।
ছাত্র-জনতা অভু্যত্থানের পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর নয়া ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল যোগদানের পর প্রতিষ্ঠানটিতে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন। নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, প্রভাববিস্তারকারীদের সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক পদক্ষেপ গ্রহণের পথে হাটছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে নয়া ভিসি অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। তন্মধ্যে ৪২ জন শিক্ষকই উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে ১০-১২ জনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন কাজে যোগদানের জন্য। বিধি মোতাবেক তাদের সাড়া না মিললে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, পাবিপ্রবিতে নিয়োগের বিধিমালা অনুসরণ না করে নিয়োগ প্রাপ্তদের জাল সার্টিফিকেট, সার্টিফিকেটে সমস্যা, অভিজ্ঞতা ছাড়া, বয়স চলে যাওয়াসহ নানা অসঙ্গতি ছিল। এরপরেও রাজনৈতিক বিবেচনায় ও অনৈতিক সুবিধা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন এবং পদোন্নতি নিয়েছেন। বিগত সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব পদে রাজনৈতিক বিবেচনাসহ নিয়োগে ৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক লেনদেন করে নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ্যতায় ঘাটতি থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ায় শিক্ষার গুণগত মান অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় ইচ্ছা অনুযায়ী নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণ করে এসব নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নিয়োগ বোর্ডে উপাচার্য বা উপ-উপাচার্যের পছন্দের বিশেষজ্ঞ নেওয়া হয়েছে। নিয়োগে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা ও শিক্ষক, ছাত্রনেতা ও স্থানীয় নেতা উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। তিনি উপ-রেজিস্ট্রার পদে বয়স ও মাস্টার্স সার্টিফিকেটে সমস্যাসহ অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ পান। ড. মো. মুশফিকুর রহমান, অধ্যাপক ব্যবসায় প্রশাসন ও ড. মো. হাবিবুলস্নাহ, অধ্যাপক বাংলা বিভাগ তাদের শিক্ষা জীবনে কোন প্রথম শ্রেণি নেই। ড. মো. আব্দুল আলিম, অধ্যাপক বাংলা বিভাগ, তিনি এসএসসিতে বিশেষ বিবেচনায় পাশ করেন। তিনি কখনও আওয়ামী লীগের অনুসারী, কখনও জামায়াতের অনুসারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে তৎপর। ড. আওয়াল কবির জয়, সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স পাশ করেন। তিনি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ প্রশাসনকে কোনঠাসা করে রেখেছিলেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। ড. আমিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ব্যবসায় প্রশাসন, তরুন দেব নাথ, সহকারী অধ্যাপক, আইসিই বিভাগ, এস.এম. হাসান সাজ্জাদ ইকবাল, সহযোগী অধ্যাপক, ইটিই বিভাগ ও ড. দিলীপ কুমার সরকার, অধ্যাপক ইইই বিভাগ তারা (সার্কুলারের) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়ম নীতির বাইরে নিয়োগ পান। ড. মো. কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ব্যবসায় প্রশাসন, পিএইচডি জালিয়াতি করে পদোন্নতি পেয়েছেন। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কামরুল হাসান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, সহ-রেজিস্ট্রার নিয়োগে অভিজ্ঞতা ঘাটতি ও আপগ্রেডের সময় অবৈধ রেয়াতী সুবিধা গ্রহন করে কর্মরত আছেন। শাহান শাহ (মিলন), অতিরিক্ত পরিচালক, উপ-পরিচালক পদে নিয়োগ পান কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া। জিএম শামসাদ ফখরুল, অতিরিক্ত পরিচালক, গ্রাজুয়েশন ও মাস্টার্সের সার্টিফিকেট ভারতের এই সার্টিফিকেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরুপ সমালোচনা চাউর আছে। তাওহিদা খানম, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, তিনি নিয়োগ পান কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া। হাফিজুর রহমান মোলস্না, অতিরিক্ত লাইব্রেরিয়ান, সহ লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ পেয়েছেন অভিজ্ঞতা ছাড়া। আরও অনেকের বিরুদ্ধে এধরনের নিয়মবহির্ভুত নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া যায়।
পাবনার সচেতন নাগরিক পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার বলেন, পাবিপ্রবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তদবিরের শীর্ষে চলে যায়। রাজনৈতিক নেতাদের খামখেয়ালিপনায় অযোগ্য, অদক্ষ, অনভিজ্ঞদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুর্বল জনবল কাঠামো ও দুর্নীতি পরায়ন প্রশাসনের কারণে ক্রমাগতভাবে এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম হ্রাস পাওয়াসহ কার্যতঃ অথর্ব্য প্রতিষ্ঠানে রূপ পেয়েছে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল সার্বিক বিষয়ে বলেন, 'আমি যোগদানের পর নিজে আবিস্কার করতে পারিনি এটা আদৌত বিশ্ববিদ্যালয় কিনা। যেখানে হাত দিয়েছি, যেখানে খোঁজ নিয়েছে প্রতিটা জায়গায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়মবর্হিভূত সিস্টেমে ভরপুর ছিল। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে যে নিয়মকানুন থাকতে হয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ বিধি থাকতে হয়। প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নানা দিকনির্দেশনা থাকতে হয়। কোনটাই ছিল না। এই চেয়ারে আমার আগে যারা এসেছেন, তাদের ফায়দা হাসিল করে চলে গেছেন। অনিয়মগুলো অনুসন্ধান করছি। শুদ্ধ অভিযান চালাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই এ প্রতিষ্ঠানটি একটা কাঠামোগত অবস্থায় ফিরবে।'